স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ সেপ্টেম্বর : প্রতিবছর বিধানসভা অধিবেশন গড়ে দুবার বসে। কিন্তু ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বিধানসভা অধিবেশন প্রতিবছর অর্ধেকও হচ্ছে না। এই বিধানসভা অধিবেশনই হল রাজ্যের মানুষের সুখ দুঃখ এবং উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করা যায়। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে বর্তমান জলন্ত ইস্যুগুলি নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি আলোচনা করতে পারছে না। কারণ শাসক দলের পক্ষ থেকে নানা রকম ভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়।
বিশেষ করে কিভাবে বিরোধী দলের বক্তব্য এড়িয়ে চলা যায় সেদিকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিধানসভা অধিবেশন। এভাবে রাজ্যের ৪০ লক্ষ মানুষের স্বার্থ অস্বীকার করে চলেছে শাসক দল বিজেপি। শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন ট্রেজারি বেঞ্চের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে গিয়ে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্তমানে দেখা যাচ্ছে রাজ্যে গাঁজা-পাচার, নারী পাচার, বর্ডারে চিনি পাচার, গরু পাচার করে চলেছে শাসক দলের কর্মী।
অপরদিকে নিগো বাণিজ্যে মারামারি করছে শাসক দলের কর্মী। তাই ১০০ শতাংশই বিজেপির লোকেরা এ ধরনের কার্যকলাপ সংঘটিত করছে বলে জানান তিনি। আর গত ছয় বছর ধরে বিভিন্ন দপ্তরের শূন্য পদ একই জায়গায় রেখে স্বাস্থ্য হাব, শিক্ষা হাবের কথা বলে চলেছে। সবচেয়ে উদ্বেগ জনক বিষয় হলো এই বিধানসভা অধিবেশনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের সহযোগিতা, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে কোনো জবাবই দেয়নি শাসক দলের বেঞ্চ। এর চাইতে দুর্ভাগ্যের আর কিছু হতে পারে না বলে জানান তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন সিপিআইএমের অন্যান্য বিধায়করাও উপস্থিত ছিলেন।