Sunday, December 22, 2024
বাড়িরাজ্যপশ্চিম আগরতলা থানা ঘেরাও করে বামেদের বিক্ষোভ

পশ্চিম আগরতলা থানা ঘেরাও করে বামেদের বিক্ষোভ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ সেপ্টেম্বর : মন্ত্রী সুধাংশু দাসের বিতর্কিত পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক পারদ ক্রমশ চড়ছে। শাসক বিরোধী বিরোধী রাজনৈতিক দল মাঠে নেমে একে অপরের বিরুদ্ধে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি করছে। পরিস্থিতি ক্রমশ নয়া মোড় ধারন করতে শুরু করেছে। মন্ত্রি সুধাংশু দাসের বিতর্কিত পোস্টের বিরোধিতা করায় বিরোধী দল নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীকে শুক্রবার সকালের বিক্ষোভ দেখায় শাসক দলের ভক্তরা। এরই প্রতিবাদে আবার পাল্টা এদিন বিকেল বেলা ভিক্ষুক মিছিল সংগঠিত করা হয় আগরতলা শহরে।

মিছিলটি আগরতলা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে পশ্চিম আগরতলা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় এবং সড়ক অবরোধ করে। অভিযোগ, শুক্রবার সকালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। কিন্তু বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতার বাড়িতে আক্রমণ সংঘটিত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর, প্রাক্তন সাংসদ শংকর প্রসাদ দত্ত, প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, প্রথম মহড়া সরকার গন্ডাছড়ায় দিয়েছেন। সেখানে জাতি জনজাতির চিরাচরিত ঐক্য নষ্ট করার চেষ্টা করেছে সরকার। বহু মানুষ সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এবং সেখানে যে শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের যে নিরাপত্তা এবং পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা করার কথা সেটা এখনো করেনি। পরবর্তী সময় আবার রানির বাজারের দুর্গানগরে রাজ্যের সব ধর্মের মানুষের সু- ভ্রাতৃত্ব নষ্ট করা জন্য অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে শাসক দল এবং তাদের আরএসএস সংগঠন রাজ্যের শান্তি সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন উস্কানিমূলক কার্যকলাপ করে চলেছে। তারা চাইছে মানুষের শান্তি সম্প্রীতি ক্ষুন্ন করতে। তারপর রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল সিপিআইএম যখন সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে তখন আবার রাজ্য মন্ত্রিসভার এক সদস্য উস্কানিমূলক বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। সাথে সাথে বিষয়টি তুলেছেন দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের দৃষ্টি ও আকর্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি করা হয়েছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে পাল্টা কিছু সংগঠনকে বিরোধীদের পিছনে লেলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেন। কিন্তু তিনি আরো বলেন এভাবে মানুষকে বিভাজন করতে দেওয়া হবে না। তাই বিরোধীরা লড়াই করছে। আর বিরোধীরা লড়াই করছে বলে শুক্রবার সকালে বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে গিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ করেছে শাসক দলের দূর্বৃত্তরা। এমনকি বিরোধী দলনেতার পথ আটকে এক প্রকার ভাবে হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেন। এর দ্বারা স্পষ্ট হয়েছে নৈরাজ্য কোথায় গিয়েছে, এর দৃষ্টান্ত আজকের এই ঘটনা। এবং পুলিশ সবকিছু দেখে দলদাসের ভূমিকা পালন করেছে। তাই পুলিশের নিদ্রা ভাঙতে আজকের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি বলে জানান তিনি। আরো বলেন এ রাজ্যের মানুষ শান্তি সম্প্রীতি চায়। এ ধরনের নৈরাজ্য, গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ এবং বিভাজন চায়না। তবে এইভাবে চলতে থাকলে সময় সাপেক্ষ। মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে রাস্তায় নামবে বলে জানান তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য