স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ সেপ্টেম্বর : আগরতলা শহরে এখন যানজটের অন্যতম কারণ হলো উদাসীন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে যানজট সৃষ্টি করলেও ট্রাফিক কর্মীদের নেই কোন দেখা। আর যখনই আধিকারিকরা দলবল নিয়ে মাঠে নামছে, তখন সাংবাদিকদের ডেকে ফটো সেশন করছে এবং মোটা অংক জরিমানা করে পকেট ভারি করছেন। বিষয়টি গত কয়েকদিন ধরেই আগরতলা শহরের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
অফিস টাইমে দপ্তরের উপর মহল থেকে একদম নিচু মহল পর্যন্ত সব কর্মীরাই দুর্গাপূজাকে টার্গেট করে মাঠে নামছে। তাদের একটাই লক্ষ্য জরিমানা করা। কিন্তু জরিমানার পরিবর্তে কোন কঠোর পদক্ষেপ যান চালকদের বিরুদ্ধে নিতে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। শুক্রবার একই দৃশ্য লক্ষ্য করা গেল রাজধানীর জিবি বাজার এলাকায়। জিবি বাজার এলাকায় এদিন ট্রাফিক এসপি সুদেষ্ণা ভট্টাচার্যী, এডিশনাল এসপি সুধামবিকা আর এবং ডিএসপি দীপক কুমার সরকারের নেতৃত্বে কিছু ট্রাফিকের সাব ইন্সপেক্টর, পুলিশ কনেস্টবল অভিযান চালায়। এবং এই অভিযানকারী টিমের নাম দেওয়া হয়েছে এনফোর্সমেন্ট টিম।
তবে এই টিমের কাজ কি শুধু জরিমানা আদায় করা নাকি যারা আইন লঙ্ঘন করছে তাদের ধর পাকোড়া করা সেটা জানা নেই সংবাদমাধ্যমের। তবে এটা ঠিক বাস্তব উদ্দেশ্য হলো জরিমানা আদায় করা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আগরতলা শহরের অন্যতম বাণিজ্যিক ও ব্যস্ততম স্থান মোটরস্ট্যান্ড, বটতলা, জিবি বাজার এবং রাধানগর এলাকায় ট্রাফিক জ্যাম মানুষের অন্যতম দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠেছে। সঠিকভাবে গাড়ি চলাচল করছে কিনা সেদিকে তাদের কোন নজর নেই। তারা শুধু হাতে মেশিন নিয়ে জরিমানা আদায় করছে। জরিমানা আদায় করাটা কোন বেআইনি কার্যকলাপ নয়, কিন্তু রাস্তায় যাতে ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি না হয় সেদিকে তাদের নজর রাখাটা বড় দায়িত্ব। সে দায়িত্ব ভুলে গেছেন তারা। এদিন জিবি বাজার এলাকায় তিন আধিকারিকের নেতৃত্বে চলে একই দৃশ্য। জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে আইন লঙ্ঘনকারী গাড়ি চালকদের। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য আটক করা হচ্ছে না। কিন্তু একটা বড় অংশের গাড়ি চালক মোটা অংকের জরিমানা মিটিয়ে দিতে প্রস্তুত, কিন্তু তারপরও তারা দ্বিতীয়বার আইন লঙ্ঘন করে রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। নো পার্কিং জায়গায় অটো চালক এবং টমটম চালকরা গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে আরো বড়সড় ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি করছে শহরে। সবকিছু দেখেও না দেখার ভ্যান করছে ট্রাফিক দপ্তর।