স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ সেপ্টেম্বর : রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করলেও পরিকল্পনার অভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। একদিকে রাজ্যে বিদ্যালয়ের অনুপাতে শিক্ষকের সঙ্কট রয়েছে। তার উপর অপরিকল্পিত বদলি নীতির ফলে গ্রাম পাহাড়ের বিদ্যালয় গুলি শিক্ষক সঙ্কটে ভুগছে। গ্রাম পাহাড়ের বিদ্যালয় গুলিতে লাটে উঠেছে পঠনপাঠন। ফলে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকরা শিক্ষকের দাবিতে সড়ক অবরোধে সামিল হচ্ছে।
মঙ্গলবার শিক্ষকের দাবিতে কাঞ্চনপুর-ধর্মনগর সড়ক অবরোধে সামিল হয় উত্তর জেলার কাঞ্চনপুর সরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রাত বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা। এই বিদ্যালয়ের প্রাত বিভাগে ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন মাত্র চার জন। চার জন শিক্ষক শিক্ষিকা দিয়ে বিদ্যালয় চালানো অসম্ভব। বিদ্যালয়ে নিয়মিত পঠনপাঠনও হয় না। এক প্রকার বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার সকালে কাঞ্চনপুর সরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রাত বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবকরা কাঞ্চনপুর মহকুমার শ্রীরামপুর জেলরোড সংলগ্ন এলাকায় কাঞ্চনপুর-ধর্মনগর সড়ক অবরোধে সামিল হন। এক অভিভাবক জানান বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাতে শিক্ষক শিক্ষকা কম। ফলে বিদ্যালয়ে সঠিক ভাবে পঠন পাঠন হয় না। ফলে তাদের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাই ওনারা বাধ্য হয়ে শিক্ষকের দাবিতে সড়ক অবরোধে সামিল হয়েছেন। সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পড়ায় তিন ঘন্টা পর অবরোধস্থলে পৌঁছান কাঞ্চনপুর মহকুমার শিক্ষা দপ্তরের আইএস।
তিনি সড়ক অবরোধকারিদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। তারপর সড়ক অবরোধকারিরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। এই ভাবে কিছুদিন পর পর দেখা যায় শিক্ষকের দাবিতে সড়ক অবরোধে সামিল হয় ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু তারপর শিক্ষা দপ্তরের কোন হেল দোল নেই। তথ্য সংগ্রহ করে দেখলে দেখা যায় আগরতলা শহর সহ রাজ্যের বিভিন্ন শহর ও নগর পঞ্চায়েত এলাকা, জেলা সদরে অবস্থিত স্কুল গুলিতে ছাত্র-ছাত্রী অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। দপ্তর চাইলে সেই সকল স্কুল থেকে অতিরিক্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের গ্রাম পাহাড়ের স্কুল গুলিতে বদলি করতে পারে। এতে করে গ্রাম পাহাড়ের স্কুল গুলিতে শিক্ষক সঙ্কটের সমস্যা কিছুটা হলেও লাগভ হবে। এখন দেখার শিক্ষা দপ্তর সেই রাস্তায় হাটে কিনা।