স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ সেপ্টেম্বর : পথে-ঘাটে আন্দোলন করে একবার চাকরিটা পেয়ে গেলেই হলো, একদিকে প্রাইভেট টিউশন অপরদিকে মাসে মাসে সরকারি চাকরির মোটা বেতন গুনে জীবনে চমক দেখাচ্ছেন কিছু সরকারি কর্মচারী। কিন্তু যখন তাদের ফাঁকিবাজির ঘটনা সামনে আসে তখন তারা অজুহাতে পাহাড় জমায় সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা সামনে। এমনই এক ঘটনা সংঘটিত হলো সোমবার।
এদিন সকাল ১০ টার পর শান্তির বাজার দ্বাদশশ্রেনী বিদ্যালয়ের সামনে ছাত্র ও শিক্ষকের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। এই ভীড়ে জমানোর কারন জানতে চাইলে জানা যায় বিদ্যালয়ে যে সকল ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকরা সকাল ১০ ঘটিকার পর বিদ্যালয়ে এসেছে তাদেরকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক জানান স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বহুবার বলা হয়েছে বিদ্যালয় সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সহযোগিতা করতে সকলে যাতে সকাল দশটার মধ্যে স্কুলে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু কারোর কোন ভুরুক্ষেপ নেই। মর্জি মাফিক স্কুলে প্রবেশ করছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাত থেকে তারা স্কুলের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সহযোগিতা করছে না। তাই বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বসন্মতিক্রমে সোমবার ১০ টার পর বিদ্যালয়ের গেইটে তালা ঝুলানো হয়। এতে করে যে সকল শিক্ষক শিক্ষিকারা দেরিতে এসেছেন তাদের কাছে বিদ্যালয়ে দেরিতে আসার কারন জানাতে চাইলে তারা রাস্তা খারাপ হবার অজুহাত দেখাচ্ছেন।
তারা জানান শান্তিরবাজার বিলোনিয়া রাস্তা খারাপ হবার কারনে তাদের দেরি হয়েছে। আবার এক শিক্ষক মশাই বাইক নিয়ে কয়েকবার দুর্ঘটনায় পড়ার অভিযোগও তুলেছেন। তবে এদিন কিছু ছাত্রছাত্রীকে বিদ্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যেসব শিক্ষক শিক্ষিকারা এ দিন স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাদের হয়তো জানা ছিল না এ ধরনের ঘটনা তাদের সাথে ঘটতে পারে। কিন্তু তাদের জেনে রাখা ভালো, শিক্ষকরা সমাজের মেরুদন্ড। তারা যদি সময় মতো স্কুলে না আসে তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা কিভাবে সময় মত স্কুলে আসবে? মানুষের সমস্যা একদিন হতে পারে, কিন্তু প্রতিদিন হওয়ার কথা নয়। আর যদি সত্যিই রাস্তার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কেন শিক্ষকরা সময় মত যাতে স্কুলে এসে পৌঁছাতে পারে তার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের আগে বাড়ি থেকে বের হয় না? এ দিনের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন। এবং তারা জানিয়েছে এ ধরনের শাস্তি মূলক ব্যবস্থা যাতে রাজ্যের সব কটি স্কুলে করা হয়।