স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ সেপ্টেম্বর : বন্যা পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার জন্য একদিকে মোকাবেলা করা হচ্ছে, অপরদিকে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য যারা রক্তদান শিবিরে এগিয়ে আসছে তাদের বিষয়ে প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। সোমবার সকালে জেকশন গেট এলাকায় একটি সামাজিক সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে বক্তব্য রেখে বলেন, মানুষ ৬৫ বছর পর্যন্ত রক্তদান করতে পারে। রক্তদানে এগিয়ে আসলে মানুষ নিজের স্বাস্থ্যের সম্পর্কেও জানতে পারে।
কারণ রক্তদানের আগে রক্তদাতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন একজন ব্যক্তির রক্তের দ্বারা চারজন মুমূর্ষ রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়। আগেই এই ব্যবস্থা ছিল না। বর্তমানে ডাব্লিউ বি সি, প্লাজমা পৃথক করে রোগীদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়। তাই এ রক্তদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বর্তমানে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, রক্ত যাতে অপচয় না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে। চাহিদার সাথে রক্তদানের সমতা অবশ্যই বজায় রেখে শিবিরের উদ্যোগ নিতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর সকলের উদ্দেশ্যে বলেন ৬০ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত রক্ত দেওয়া যায়। এবং শরীরের সামান্য রক্ত দিয়ে যদি কোন রোগীর প্রাণ বাঁচানো যায় তাহলে এর চাইতে বড় মহৎ কাজ আর কিছুই হতে পারে না। তবে কিছু কিছু মানুষের মধ্যে রক্তদান নিয়ে এখনও ভুলভ্রান্তি কাজ করে। রক্ত দিলে কেউ অসুস্থ হয় না, পরে আবার সেই রক্ত উৎপন্ন হয়ে যায় শরীরে। মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে রক্তদানের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী এবং আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার রক্তদান শিবির ঘুরে দেখেন। উৎসাহিত করেন রক্তদাতাদের। বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে তুলে দেয় বস্ত্র।