Saturday, December 21, 2024
বাড়িরাজ্যবন্যায় মৃত্যু হয়েছে একত্রিশ জনের, ৫৩,৩৫৬ জনের বেশি মানুষ ৩৬৯ টি ত্রাণ...

বন্যায় মৃত্যু হয়েছে একত্রিশ জনের, ৫৩,৩৫৬ জনের বেশি মানুষ ৩৬৯ টি ত্রাণ শিবিরে রয়েছে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ আগস্ট : গত ১৯-২৩ আগস্ট অতি ভারী বৃষ্টি হয়। এর ফলে রাজ্যে নজিরবিহীন বন্যা হয়েছে। এখন পর্যন্ত একত্রিশ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে দুজন এবং নিখোঁজ একজন। বুধবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন রাজস্ব দপ্তরের সচিব বিজেস পান্ডে। তিনি বলেন, এখনো রাজ্যে জেলা প্রশাসনের দ্বারা ৩৬৯ টি ত্রাণ শিবির চালু রয়েছে। এর মধ্যে রাজ্যে ৫৩,৩৫৬ জনের বেশি মানুষ রয়েছে।

এখন পর্যন্ত ২৭ হাজারের বেশি খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তিনটি দল এবং ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের দুইটি দল গোমতি এবং সিপাহিজলা জেলায় ত্রাণ তৎপরতায় কাজ করছে। সিভিল ডিফেন্স এবং আপদা মিত্রের প্রায় ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক ত্রাণ তৎপরতায় নিয়োজিত রয়েছে। তিনি আরো জানান, সর্বোচ্চ পর্যায়ে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে সচিব এবং সমস্ত জেলা শাসকের সাথে বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। পরে সন্ধ্যা সময় মুখ্যমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে একটি পর্যালোচনা সভাও করেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে, ডিএম এবং কালেক্টর তাৎক্ষণিক ত্রাণ, পানীয় জল, স্বাস্থ্য এবং স্যানিটেশন প্রদানের উপর গুরুত্ব দেন এবং পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থাগুলিকে ত্বরান্বিত করছেন।আগরতলা শহরে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ টি জল শোধনাগার এবং ১১টি গভীর নলকূপের সবগুলোই দ্রুত পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। মোট নয়টি জলের ট্যাঙ্কার এমন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে যেখানে পানীয়ের অনুপলব্ধতা রয়েছে বলে রিপোর্ট করা হয়েছে। আগরতলায় জল।

সমস্ত ক্ষতিগ্রস্থ পাম্পগুলিকে কার্যকরী করে, শহরের রাস্তাগুলি পরিষ্কার করে এবং স্বাভাবিক অবস্থার সুবিধার্থে ডি-ক্লগিং এবং ডি-ওয়াটারিং প্রচেষ্টা করা হয়। জলবাহিত রোগের বিস্তার রোধে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়মিত শৌচাগার পরিষ্কার, ব্লিচিং, জীবাণুনাশক স্প্রে এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা ত্রাণ শিবিরে ১১০৭ বার পরিদর্শন করে ৩৫ হাজার ৪৭৭ জনের চিকিৎসা করা হয়েছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য