Monday, December 23, 2024
বাড়িরাজ্যসরকারি ঘোষণা অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি না হওয়ায় বিক্ষোভের শামিল হল জিবি হাসপাতালের...

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি না হওয়ায় বিক্ষোভের শামিল হল জিবি হাসপাতালের অনিয়মিত কর্মচারীরা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ আগস্ট :সরকার মহার্ঘ ভাতা ঘোষনা করলেও গত ৮ মাস ধরে বঞ্চিত রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতালের অনিয়মিত কর্মচারীরা। সম কাজে সম বেতন তো দূরের কথা, সরকারি ভাবে ঘোষণা করা ডি এ পর্যন্ত মিলছে না তাদের। এ ধরনের বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে বুধবার জিবি হাসপাতালে সুপারিনটেনডেন্টের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এই অনিয়মিত ক্যাজুয়াল কর্মীরা। তাদের বক্তব্য গত জানুয়ারি মাসে সরকার ঘোষণা করে তাদের দৈনিক ২৫ টাকা করে বৃদ্ধি হয়েছে। যথারীতি আইজিএম হাসপাতাল এবং অটলবিহারী বাজপেয়ী রিজোনাল ক্যান্সার হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালের ক্যাজুয়াল কর্মীরা জানুয়ারি মাস থেকে দৈনিক ২৫ টাকা বেশি করে পেয়ে গেলও জিবি হাসপাতালের কর্মীদের বঞ্চনা করা হচ্ছে।

এ বিষয় নিয়ে বহুবার হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট সহ অন্যান্য আধিকারিকদের কাছে গিয়ে জানানো হলেও তাদের কথা কেউ কর্ণপাত করছে না। আর নয়তো শুধু বলা হচ্ছে ফাইল পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনের জন্য কার্যকর হচ্ছে না। কিন্তু বর্তমানে নির্বাচন নেই, কিন্তু তারপরও তাদের জন্য সরকারি ঘোষণা কার্যকর হচ্ছে না। তাই দুর্গাপূজার আগে তারা সরব হল তাদের ন্যায্য পাওনা নিয়ে। তারা আরো বলেন, অন্যান্য হাসপাতলে ক্যাজুয়াল কর্মীরা যদি সেই টাকা পেয়ে যায় তাহলে কেন বঞ্চিত হতে হবে জিবি হাসপাতালের ক্যাজুয়াল কর্মীদের। তাই এবার সরব হয়েছে হাসপাতালের ২৫০ থেকে তিন শতাধিক কর্মী। তাদের বক্তব্য আর কত নির্বাচন এবং ফাইলের দোহাই দিয়ে তাদের বঞ্চিত করে রাখা হবে। তারাতো হাসপাতালে সুপারিনটেনডেন্ট এবং ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট-এর মত লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন পায় না। মাসে ১১,০০০ টাকা তাদের বেতন। এর মধ্যে মাত্র দৈনিক ২৫ টাকা করে তাদের বৃদ্ধি হয়েছিল। আজ সেই টাকাও আজ বঞ্চিত হতে হচ্ছে হাসপাতালের আধিকারিকদের জন্য। এর জন্য দায়ী সুপারিনটেনডেন্ট এবং ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট বলে দাবি করেন।

এদিন সুপারিনটেনডেন্টকে না পেয়ে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্টের কাছে গেলে তাদের বলে দেওয়া হয় তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। বিগত দিন যে অ্যাডভান্স পেতেন, এবার পুজোতে আর অ্যাডভান্স পাবে না। এ বিষয় নিয়ে তারা ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্টের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানিয়ে দেন এ বিষয়ে অর্থ দপ্তরের সাথে গিয়ে কথা বলার জন্য। শেষ পর্যন্ত তারা হতাশ হয়ে বলেন তাদের অভাব অভিযোগ কার কাছে বলবে যদি হাসপাতালের আধিকারিকরাই না জানেন। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন যদি অবিলম্বে তাদের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের সহানুভূতি না হয় তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য