স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ আগস্ট : বন্যা পরিস্থিতির কারণে রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেকটাই ব্যাঘাত ঘটেছে। রবিবার সচিবালের সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষা দপ্তর এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা জানান, উদয়পুর এবং অমরপুর মহকুমা ছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমায় শিক্ষার ক্ষেত্রে ইনফ্রাস্ট্রাকচারের যে ক্ষতি হয়েছে তাতে দেখা গেছে প্রায় ১১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
তিনি জানান, দক্ষিণ জেলার সাতচান ব্লকের অধীন জগরাম পাড়া এসবি স্কুল এবং গণমুক্ত পাড়া জেবি স্কুল ধস পরে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ২৩৯ স্কুলে বর্তমানে অস্থায়ী শিবির খোলা হয়েছে। এগুলির মধ্যে বর্তমানে প্রচুর মানুষ রয়েছে। এছাড়া বহু স্কুলে জল উঠেছে। ফলে স্কুল গুলি ক্লাস রুম পলি মাটি কাঁদায় ভরে আছে। জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের স্কুলগুলি পরিষ্কার করানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২০৯ টি বিভিন্ন ভাবে এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত লক্ষ্য করা গেছে প্রায় ১২ হাজার ছাত্রছাত্রীর বই খাতা নষ্ট হয়েছে। এগুলি এসসিইআরটির মাধ্যমে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানিয়েছেন, আপাতত স্কুল খোলার বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। কারণ এখনো বহু স্কুলে শরণার্থী শিবির রয়েছে। এবং বন্যায় প্লাবিত বহু স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্কুলগুলি পরিষ্কার না করে খোলা যাবে না। তাহলে ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়বে বলে জানান তিনি। অপরদিকে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা জানান, বিলোনিয়া ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয়ের ১০০ মিটারের মতো দেওয়াল এই বন্যায় নষ্ট হয়েছে।
মোহনপুর স্বামী বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ যে রাস্তা গুলি রয়েছে সেগুলি নষ্ট হয়েছে। অপরদিকে বগাফা লাইব্রেরির কিছু বই বন্যায় নষ্ট হয়েছে। বিলোনিয়া লাইব্রেরীতে কিছু বই নষ্ট হয়েছে। এবং এই বন্যার কারণে গত ২১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তিনি আরো জানিয়েছেন, এই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দুটি কলেজে অস্থায়ী শিবির খোলা হয়েছিল। এবং এর পরিস্থিতির মধ্যে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কর্মীরা মানুষের জন্য এগিয়ে এসে দায়িত্ব পালন করেছে বলে জানান তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এস সি ই আর টি দপ্তরের অধিকর্তা।