Thursday, January 16, 2025
বাড়িরাজ্যবাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে, রবিবার সকালে বটতলা বাজারে অভিযান চালাল প্রশাসন

বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে, রবিবার সকালে বটতলা বাজারে অভিযান চালাল প্রশাসন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ আগস্ট : বাজারে দ্রব্যমূল্য আকাশ ছোঁয়া। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই অসাধু ব্যবসায়ীরা গত দুদিন ধরে বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে গেছে। অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করেছে নিত্য প্রয়োজনে সামগ্রীর মূল্য। বিশেষ করে কাঁচামাল, মাছ মাংস ফল সবকিছুর বাজারে অগ্নিমূল্য। এর লাগাম টানতে পুরোপুরি ভাবে ব্যর্থ সদর মহকুমা প্রশাসন। মন্ত্রীর নির্দেশে লোক দেখানো বাজার অভিযান চালালেও বাজার পুরদমে নিয়ন্ত্রণহীন। কারণ বাজারে বিভিন্ন সবজির মূল্য প্রতি কিলো ৬০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা কিলো পর্যন্ত।

 যেমন নিম্নমানের আলু ৪০ টাকা কিলো, আর খাওয়ার উপযোগী আলুর মূল্য ৫৫-৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা কিলো, টমেটো ১০০ টাকা কিলো, কারকল ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পেল, পটল ৬০ টাকা কিলো, লাউ একটি ১২০-১৫০ টাকা, মরিচ ৩০০-৪০০ টাকা কিলো, আদা ১২০-১৩০ টাকা কিলো, রসুন ২৫০-২৮০ টাকা কিলো। একই সাথে মাছ মাংসের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে আছে। যেমন কাতল মাছ ৫০০-৬০০ টাকা কিলো, কৈ মাছ ১০০০ টাকা ছিল এবং রুই মাছ ৪০০-৫০০ টাকা কিলো। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বন্যার পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই করছে না। কারণ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করার পরিবর্তে এ ধরনের মুনাফা কামানোতে উঠে পড়ে লাগবে সেটা আগেই টের পাওয়া গেছে। তাই মন্ত্রী বৈঠক করে নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখা হয় এবং কোন দ্রব্যমূল্য যাতে বৃদ্ধি না করা হয়।

 কিন্তু ব্যর্থ প্রশাসন বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। শুধুমাত্র দুবেলা মাইকিং আর সাংবাদিক ডেকে নিয়ে নিজেদের চেহারায় ক্যামেরাবন্দি করছে। তাদের কর্মযজ্ঞ মানুষের কোন কাজে আসছে না। রবিবার ছুটির দিন সকাল বেলা সদর মহকুমা শাসক মানিক লাল দাসের নেতৃত্বে আগরতলা দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার বটতলা বাজারে অভিযান চালানো হয়। প্রশাসনিক টিমকে দেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের দ্রব্যমূল্য প্রতি কিলোতে অনেকটাই কমিয়ে বলে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছদ্মবেশে যদি বাজার অভিযান চালানো হতো তাহলে বহু অসাধু ব্যবসায়ী জালে উঠতো। সদর মহাকুমা শাসক জানান, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সামগ্রী মজুত রয়েছে। আলু চল্লিশ টাকা কিলো, পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কিলো। এবং বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করার জন্য দিনে দুবেলা মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। কিন্তু বাজারে কিভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় মানুষ অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। প্রশাসনের এ ধরনের ঢিলেঢালা কার্যকলাপ কাজে আসছে না মানুষের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য