স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ আগস্ট : ১৯ আগস্ট থেকে রাজ্যে ধারাবাহিক ভাবে ভারি বর্ষণের ফলে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বন্যার কবলে পরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিন, গোমতী, ঊনকোটি ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সোনামুড়া মহকুমায় ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উপর মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে নজরদারি করছেন। মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার গোমতী জেলার খিলপাড়া ও দক্ষিন জেলার শান্তিরবাজার মহকুমায় ত্রান শিবির পরিদর্শন করেছেন। সোনামুড়ায় গোমতী নদীর জলস্তর ব্যতীত অন্যান্য স্থানে নদীর জলস্তর বিপদ সীমার নিচে নেমে এসেছে। এখনো পর্যন্ত সমগ্র রাজ্যে ৫৫৮ টি ত্রান শিবির খোলা হয়েছে।
তার মধ্যে ১ লক্ষ ২৮ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে এই সকল ত্রান শিবিরে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত সমগ্র রাজ্যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ২ জন নিখোঁজ রয়েছে। এবং ২ জন আহত হয়েছে।
বিদ্যুৎ, কৃষি ও মানুষের বাড়ি ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে বন্যার কারনে ৫ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার এনসিসি থানা সংলগ্ন স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই তথ্য তুলে ধরেন রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেস পাণ্ডে। তিনি আরও জানান গোমতী ও দক্ষিন জেলার শুক্রবারও উদ্ধার কাজ জারি রয়েছে। এনডিআরএফ-এর ৬ টি টিম ও এসডিআরএফ-এর ৬ টি টিম এখনো উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ১১ হাজারের অধিক প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবারও খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কাজ জারি থাকবে। কারন এখনো বহু স্থানে লোক আটকে রয়েছে। রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেস পান্ডে সাংবাদিক সম্মেলনে আরও জানান রাজ্যে বর্তমানে এনডিআরএফ-এর ১১ টি টিম ও এসডিআরএফ-এর ৩২ টি টিম রয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরন গিত্তে সহ অন্যান্যরা।