স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ আগস্ট : আমতলী থানার অন্তর্গত রানির খামার সন্ধি সংঘ সংলগ্ন এলাকায় গৃহবধূ সরি দেববর্মা হত্যার ঘটনার মহড়া প্রদর্শন করে দেখালো ধৃত স্বামী বিশ্বজিৎ দেববর্মা। ধৃত বিশ্বজিৎ দেববর্মা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্বীকার করে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে স্ত্রীকে হত্যা করেছিল।
উল্লেখ্য, শনিবার আমতলী থানার অন্তর্গত রানির খামার সন্ধি সংঘ সংলগ্ন কৃষ্ণ দাসের বাগানবাড়ির ঘর থেকে উদ্ধার সরি দেববর্মা নামে এক গৃহবধুর মৃতদেহ। ঘটনার দিন পুলিশ সন্দেহ জনক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতার স্বামী বিশ্বজিৎ দেববর্মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সে স্বীকার করে সে নিজে স্ত্রীকে হত্যা করেছে। রবিবার ধৃত বিশ্বজিৎ দেববর্মাকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ রিমান্ডের আর্জি জানায় পুলিস।
আদালত যথারীতি বিশ্বজিৎ দেববর্মার পুলিস রিমান্ড মঞ্জুর করে। সোমবার ধৃত বিশ্বজিৎ দেববর্মাকে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণ দাসের বাগান বাড়িতে। যেখানে খুন হয়েছিল সরি দেববর্মা। এইদিন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বিশ্বজিৎ দেববর্মা স্বীকার করে ঘটনার দিন রাতে স্বামী স্ত্রী মিলে মদ্যপান করেছিল। তারপর তাদের মধ্যে বিবাদ হয়। তখন সরি দেববর্মা স্বামীর সাথে থাকবে না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। সরি দেববর্মা ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সে ঘরের বাইরে সরি দেববর্মাকে আটক করে মাটিতে ফেলে দেয়। তারপর পা দিয়ে সরি দেববর্মাকে চেপে ধরে তার গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর সরি দেববর্মার মৃতদেহ টেনে সে ঘরে নিয়ে রাখে। কি ভাবে বিশ্বজিৎ দেববর্মা সেই দিন ঘটনা সংগঠিত করেছিল, তার মহড়া দেখায় এইদিন সে। স্ত্রীকে হত্যার মহড়া প্রদর্শনের পর ধৃত বিশ্বজিৎ দেববর্মা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জানায় সে কারো হুমকি বা ভয়ে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে নি। সে বাস্তবে যে ভাবে স্ত্রীকে হত্যা করেছে, তা সে স্বীকার করেছে। এইদিন বিশ্বজিৎ দেববর্মা স্ত্রীকে হত্যার মহড়া প্রদর্শন করার সময় উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্তকারী অফিসার সুস্মিতা দেবনাথ, আমতলী থানার সেকেন্ড অফিসার সুভারানী তেলি, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সহ অন্যান্যরা।