স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ আগস্ট : শিক্ষক অভিজিৎ দে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত শুধু মূল অভিযুক্ত নয়, মূল অভিযক্তের সাথে জড়িত কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার এবং গোমতী জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। অভিজিৎ -কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার পরও তাকে চিকিৎসা না করে আদালতে তোলা হয়েছিল।
যার কারনে বিনা চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়। মৃত শিক্ষকের পরিবারের সাথে কথা বলে এমনটাই অভিযোগ তুলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। বুধবার মৃত শিক্ষকের বাড়িতে যান সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি মৃত শিক্ষকের বাড়িতে এসে পরিবার-পরিজনদের সাথে কথা বলেন। পরবর্তীতে তিনি অভিযোগ তোলেন শিক্ষক অভিজিৎ দে কে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে খুন করা হয়েছে। বুঝতে কোনো অসুবিধা নেই এই হত্যাকান্ড সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। যারা এই ঘটনা সংঘটিত করেছে তারা সমাজ বিরোধী। এবং বিশেষ করে যে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সে তার মেয়েকেও ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার করে এই ঘটনা সংঘটিত করেছে। সে বিভিন্ন অন্যায় কাজের সাথেও জড়িত বলে জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী। জিতেন্দ্র চৌধুরী আরো বলেন মৃত শিক্ষকের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন যে তাঁকে খুন করার পূর্বে ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল।
এই বর্বরিত হত্যাকান্ডের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের মধ্যে এখনো যারা আটক হয়নি তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরো বলেন পুলিশ ও হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অপরাধী। কারণ দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার হাসপাতাল নিয়ে গেলে তাকে কোন চিকিৎসা করানো হয়নি। পরের দিন আদালতে তোলা হয়। তাই এ বিষয়গুলি সবটাই সুষ্ঠুভাবে তদন্ত হওয়া দরকার বলে জানান বিরোধী দলের নেতা। পরবর্তী সময় জেলা পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে এ বিষয়গুলি উদযাপন করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি করেছেন যাতে বিষয়গুলি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। সুষ্ঠু তদন্ত করে যারা যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের সকলকে যাতে গ্রেফতার করে আদালতে তোলার ব্যবস্থা করেন।