Thursday, January 16, 2025
বাড়িরাজ্যকাঁটাতারের এপার থেকে ওপারের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবি করল বাঙালি ঐক্যবদ্ধ সমাজ

কাঁটাতারের এপার থেকে ওপারের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবি করল বাঙালি ঐক্যবদ্ধ সমাজ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ আগস্ট : অস্থির বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ এবং হত্যার প্রতিবাদে ক্রমশ তেজী হচ্ছে কাঁটাতারে বেড়ার এপারে মানুষের আন্দোলন। গোটা রাজ্যেই তৈরি হয়েছে একপ্রকার ভাবে বৃহত্তর আন্দোলন। দিকে দিকে মানুষ বাংলাদেশের চরম নিন্দনীয় ঘটনাগুলির প্রতিবাদ করে চলেছে। একইভাবে ত্রিপুরা রাজ্য হিন্দু সমাজের পক্ষ থেকে রবিবার সকালে প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান থেকে এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু সারা রাজ্য থেকে রেল দিয়ে যখন আগরতলা বাধারঘাট স্থিত রেল স্টেশনে প্রতিবাদীরা এসে পৌঁছায় তখন তাদের রুখে দেয় পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে নিরাপত্তা কর্মীরা। তারপর আগরতলা রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনার চরম অমানবিকতা ও মনুষ্যত্বের নিন্দা জানায়। তবে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ সমাজ ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির লংতরাইভ্যালি বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, তাদের মিছিল এভাবে রুখে দেওয়ার কারণে সরকারের কোন একটা ষড়যন্ত্র করার গন্ধ পাচ্ছে। কারণ পার্শ্ববর্তী দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ক্রমশ বেড়ে চলেছে। আজকের এই বৃহত্তর কর্মসূচির মাধ্যমে বার্তা যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল যাতে এ ধরনের অসহনীয় ঘটনা বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সেই বার্তা বাংলাদেশ সরকারের কানে পৌঁছে দিতে চেয়েছিল বিশাল সংখ্যক মানুষ। পাশাপাশি দাবি তোলেন কিছু নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি যাতে তথাকথিত রাজনৈতিক নেতাদের তরফ থেকে বন্ধ করা হয়।

 নাহলে রাজ্যের হিন্দু সনাতন সমাজ বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুশিয়ার দেন। এদিকে জেলা পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে সাংবাদিকদের জানান, সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে দুটি অডিও প্রচার হয়েছে। এর দ্বারা পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ। এবং পরিস্থিতি যাতে কোন দিকে বিপদজনক না হতে পারে তার জন্য এই আন্দোলন রেল স্টেশনেরই রুখে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানিয়েছেন, কেউ যদি পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং এ ধরনের কোন কর্মসূচি গ্রহণ করতে যাওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। তিনি আরো জানিয়েছেন সীমান্তে বিএসএফের সাথে টি এস আর যৌথভাবে পেট্রোলিং করছে। এবং সেখানে সতর্কতা জারি রয়েছে। এর সাথে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।   তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে উস্কানিমূলক প্রচার করে যাতে কোনভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে না দেওয়া হয়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য