আগরতলা, ৫ আগস্ট (হি.স.) : ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারে র যেসমস্ত প্রকল্প রয়েছে তা রূপায়ণে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। রাজ্যে যে সমস্ত এলাকায় পুরাতন বিদ্যুৎ পরিবাহী তার রয়েছে তা দ্রুত পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সোমবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা এ কথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ভোক্তাদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে কাজ করছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি রূপায়ণে গুণগতমান যাতে বজায় থাকে সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকলে তা চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
সভায় বিদ্যুৎ দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি ও সাফল্য পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারগুলোতে প্রয়োজনীয় লোডের সমতা বজায় রাখার জন্য এয়ার কন্ডিশনার (এসি) ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে দপ্তরকে উদ্যোগী হতে হবে। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারগুলি নিয়মিত মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের উপরও গুরুত্ব দিতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিগুলোকে কীভাবে আরও উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বিদুৎ দপ্তরকে। সৌরশক্তির ব্যবহার আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশেষ অভিযানও শুরু করতে হবে। বেসরকারি ও বিভিন্ন সরকারি বিল্ডিংগুলোতে আরও বেশি করে সৌরশক্তি ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। বিদ্যুৎ বিল আদায়ের লক্ষ্যে দপ্তরকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। প্রয়োজনে রাজ্যের প্রতিটি মহকুমায় শিবির করে বিল আদায় করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়াও ১৯১২ নম্বরে বিদ্যুতের বিভিন্ন সমস্যাজনিত কল পেলে তা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
পর্যালোচনা সভায় বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, বিদ্যুৎ বিল সময়মতো প্রদান করার জন্য ভোক্তাদের সচেতন করতে হবে। বিদ্যুৎমন্ত্রী অবৈধভাবে যারা বিদুৎ ব্যবহার করছেন তাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।