স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ আগস্ট : স্বশাসিত জেলা পরিষদকে কিভাবে আর্থিক ক্ষমতার সুযোগ সুবিধা দেওয়া যায় তার জন্য একটি সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল পার্লামেন্টে। তারপর ২০১৮ সালে পার্লামেন্টে বিল আকারে উপস্থিত করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ছয় থেকে সাত বছর ধরে এই বিল ঝুলে রয়েছে পার্লামেন্টে। বর্তমানে এটি পার্লামেন্টে বিল আকারে রয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্য উপজাতি গণমুক্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে চলতি পার্লামেন্ট অধিবেশনে যাতে এই বিলটি পাশ করা হয়।
শুক্রবার সিপিআইএম রাজ্য কার্যালয় সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এই দাবি তোলেন ত্রিপুরা রাজ্য উপজাতি গণমুক্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাধারচরন দেববর্মা। তিনি আরো জানান, সম্প্রতি রাজ্য কমিটির বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। এ বছরও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দিনটি পালন করবে ত্রিপুরা রাজ্য উপজাতি গণমুক্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি। মিছিল, সভা, সমাবেশ করে দিনটি উদযাপন করা হবে। মূল অনুষ্ঠানটি হবে আগরতলা শহরে। আদিবাসী দিবস থেকে মূলত দাবি তোলা হবে ১২৫ তম সংবিধান সংশোধনী বিল অবিলম্বে যাতে পাশ করা হয়। বন সংরক্ষণ আইন অবিলম্বে যাতে বাতিল করা হয়। সি এ এ বাতিল করার দাবি জানানো হবে। পাশাপাশি ককবরক ভাষাকে অষ্টম তপশিলি ভাষা করার দাবি জানানো হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো অভিযোগ তুলে বলেন, জনজাতি এলাকায় গুলিতে বর্তমানে কাজ খাদ্যের চরম অভাব চলছে। বিশেষ করে যেমন জুম চাষীদের কোন সরকারি সহযোগিতা মিলছে না, একইভাবে কৃষি ক্ষেত্রেও চাষাবাদে সরকারি কোনো সহযোগিতা মিলছে না। একপ্রকার ভাবে আকাল সৃষ্টি হয়েছে। রেগার কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে না, আর কাজ হলেও মজুরি মিলছে না। এছাড়াও অন্যান্য কাজের চরম সম্পদ হয়ে আছে জনজাতি এলাকাগুলোতে। তাই সরকার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যাপক কাজের ব্যবস্থা করতে দাবী জানানো হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ তুলে বলেন, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেই জায়গা দখল করে নিচ্ছে নেশা। অপরদিকে বহু স্কুল বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। তাই ছেলেমেয়েদের রক্ষা করতে সরকার যাতে ব্যবস্থার গ্রহণ করে তার জন্য দাবি জানান।
আরো বলেন সিন্ডিকেট রাজ চলছে রাজ্যে। একেবারে ভিলেজ কমিটি এবং পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে কেবিনেট ও এডিসি প্রশাসন পর্যন্ত। যার কারণে রাজ্যে দিন দুপুরেও গোলাগুলির ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। তাই ১৫ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সভ্যপদ সংগ্রহ অভিযান করা হবে। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত সংগঠনের নেতা নরেশ জমাতিয়া জানান, জাতি জনজাতির মানুষ মিলেই দীর্ঘদিন ধরে ত্রিপুরার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ধরে রেখেছে। এ রাজ্যের মানুষ কোথায় যাবে? যে এলাকায় যারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে তাদের দায়িত্ব হবে সেখানে সংখ্যালঘু মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু নিরাপত্তার পরিবর্তে কোন ধরনের অশান্তি যাতে সৃষ্টি না করা হয় তার জন্য আহ্বান জানান তিনি। গন্ডাছড়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সংগঠনের নেতা নরেস্ট জমাতিয়া এ বিষয়ে মুখ খুললেন। তিনি নিন্দা জানিয়েছেন গন্ডাছড়ার ধ্বংসলীলার বিষয়ে। এ ধরনের ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়। সরকারি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহযোগিতার দাবিও করেছেন তিনি।