Thursday, March 20, 2025
বাড়িরাজ্যরাতের বেলা ঘরের দরজা ভেঙে ডাকাতের হানা, গৃহবধূর গলায় শরীর ধরে সর্বস্ব...

রাতের বেলা ঘরের দরজা ভেঙে ডাকাতের হানা, গৃহবধূর গলায় শরীর ধরে সর্বস্ব লুট করলো ডাকাতের দল, আক্রান্ত গৃহবধূ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ আগস্ট : ফের চুরাবাড়ি থানা এলাকায় দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত হলো। মহিলার গলায় ছুরি ধরে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ লুটপাট করে নিয়ে যায় ডাকাতের দল। ঘটনা বুধবার রাত আনুমানিক দেড়টা নাগাদ উত্তর ত্রিপুরা জেলার চুরাইবাড়ি থানাধীন চুরাইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং ওয়ার্ড এলাকায়।

 বাড়ির গৃহকর্তা আব্দুল রহিম জানান তিনি পেশায় একজন লরি চালক।তাই গাড়ি নিয়ে তাকে আসাম যেতে হয়েছিল কাজের সূত্রে। কিন্তু এরই মধ্যে বুধবার রাতে পাঁচ থেকে ছয় জনের এক ডাকাত দল ঘরের পেছনের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। তখন ওই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন তার স্ত্রী সহ দুই সন্তান। ডাকাত দলের মধ্যে একজন ঘরে প্রবেশ করে এবং বাকিরা বাইরে ছিল। সেই সময় ঘরে প্রবেশ করা কুখ্যাত ডাকাত স্ত্রীর গলায় ধারালো দা ধরে আলমিরার চাবি দিতে বলে এবং পরনের সমস্ত গয়না শরীর থেকে খুলে নিয়ে যায়। কিন্তু আতংকিত গৃহবধূ প্রথমে তিনি ডাকাতে দলের সাথে ধস্তাধস্তি করলে অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। পরে প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে সবকিছু দিতে বাধ্য হয় গৃহবধূ। পরে ডাকাত দলটি পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি বাড়ির অন্যান্যদেরকে ডেকে বিস্তারিত জানান। খবর দেন স্বামীকেও। ততক্ষণে গা ঢাকা দেয় ডাকাত দল।

পরে খবর দেওয়া হয় চুরাইবাড়ি থানায়। পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। লিখিতভাবে পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয়। গৃহবধূ রেহানা বেগম জানান প্রতিদিনের ন্যায় খাওয়া-দাওয়া শেষে সন্তানদের নিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক দেড়টা নাগাদ ঘরের পেছন দরজা ভেঙ্গে মুখে কালো কাপড় বাধা ডাকাতের দল ঘরে প্রবেশ করে। তারপর তার শরীরে আঘাত করতে থাকে। নিজের এবং সন্তানদের প্রাণ রক্ষা করতে গিয়ে উনার সমস্ত অলংকার, নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন সহ অন্যান্য কিছু সামগ্রী দিতে হয় ডাকাতের দলকে। এবং গৃহবধূকে বলে যদি চিৎকার করে তাহলে তাদের মেরে ফেলবে। গৃহবধূ এই ঘটনার সাথে জড়িত সকলের গ্রেফতারের দাবি করেছে। তবে কিছুদিন বাদে এ ধরনের ডাকাতির ঘটনার রাজ্যে আবারো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয়রা। প্রশ্ন উঠে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। কারণ নাকা চেকিং সহ পুলিশের টহল বাড়িতে অনেক বেশি ঘাটতি থাকার এ ধরনের ঘটনা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য