Wednesday, September 11, 2024
বাড়িরাজ্যবিমানবন্দর থেকে আটক ৮ বাংলাদেশী

বিমানবন্দর থেকে আটক ৮ বাংলাদেশী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ জুলাই : চিন্তা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। আর কয়েকদিন বাদেই দেশের স্বাধীনতা দিবস। তার আগে সীমান্তের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে বলা চলে। কারণ একদিকে কোটা আন্দোলন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে থমথমে বাংলাদেশ। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে লাগাতার চলছে বাংলাদেশি নাগরিক অনুপ্রবেশ।

 রেল স্টেশনের পর এবার বিমানবন্দর থেকে দুজন শিশু সহ ৮ জন বাংলাদেশী নাগরিককে জালে তুলেছে পুলিশ। আটক বাংলাদেশিরা নোয়াখালী, গোপালগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, মায়মনসিংহ, জামালপুর জেলার বাসিন্দা। ধৃতদের নাম লাকি আক্তার, সিমা খরা, মোহাম্মদ সোহাগী আক্তার, রেহেনা শেখ, মিস ফাতেমা এবং তাদের সঙ্গে ২ জন শিশু এই সময় এয়ারপোর্ট থানার পুলিশের হাতে আটক হয়।এই বিষয়ে পুলিশের হাতে আটক হওয়া অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী মহিলা নাগরিকরা জানান তারা নারায়নপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় দালাল বিমল নামে একজনের দ্বারা ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। মাথা পিছু ১২ হাজার টাকা দিয়ে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়ার কাটা অংশ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে এবং এই দালালই তাদের নকল ভারতীয় পরিচয় পত্র আঁধার কার্ড বানিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।

প্রতি আঁধার কার্ড ১ হাজার টাকার বিনিময়ে। তারা জানান তাদের ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় এবং সীমন্ত বেড়া কাটা রয়েছে সেই জায়গা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে এম বি বি বিমানবন্দর থেকে আমেদাবাদ যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা। এই বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, এম বি বি বিমানবন্দরে কিছু লোক সন্দেহভাজন ভাবে ঘোড়া ফেরা দেখে বিমানবন্দরের কর্মীরা খবর দেয় এয়ারপোর্ট থানার পুলিশকে। পুলিশ বিমানবন্দরে ছুটে গিয়ে তাদের আটক করে। অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের বিষয় এবং সেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে আনা হয় থানায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মাত্র ৪দিন আগে এই বিমান বন্দর থেকে ৬ অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী নাগরিক গ্রেপ্তার হয়েছিল।  আবার এত সংখক অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী মহিলা নাগরিক গ্রেপ্তারের পর আবারো প্রশ্ন উঠেছে বিএসএফ -এর ভূমিকা নিয়ে। কারণ সামনে ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস। ইতিমধ্যে সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত কঠোর হওয়ার কথা। সে জায়গায় ভারতীয় দালাল এবং বাংলাদেশের দালালদের যারা মানব পাচার অব্যাহত রয়েছে, সেটা ষ্পষ্ট। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছেন। যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে দেশবাসীর কাছে। অপরদিকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভূমিকায় চরম দুর্বলতা রয়েছে। দুর্বলতা না থাকলে পুলিশ দালালদের খুঁজে অবশ্যই বের করতে পারত।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য