স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ মার্চ : ২৮ এবং ২৯ মার্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং গণসংগঠন গুলি । ধর্মঘট সফল করতে শুক্রবার বাম শ্রমিক সংগঠনগুলো যৌথভাবে একটি মিছিল সংঘটিত করে আগরতলা শহরে। এদিন মিছিলে আওয়াজ করা হয় মানুষ বাঁচাও, দেশ বাঁচাও। আর এই স্লোগানকে সামনে রেখে সি আই টি ইউ রাজ্য কার্যালয় থেকে একটি মিছিল সংঘটিত হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সি আই টি ইউ রাজ্য সম্পাদক মানিক দে। তিনি মিছিলের বক্তব্য রেখে বলেন, দেশের শ্রমিকদের ধর্মঘটে যেতে বাধ্য করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
যে প্রতিশ্রুতি সরকার দিয়েছিল তা রক্ষা করেনি। ১২ দফা দাবিতে আন্দোলন ১৯৯১ সাল থেকে শুরু হয়েছে। আন্দোলন দেশের দফায় দফায় চলছে। আগামী দুইদিন ২১ তম ধর্মঘট হবে। কারণ রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থাগুলির বিক্রি করতে পারবে না। কারণ সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গুলি পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। কোন সম্পদ তৈরি করা তো দূরের কথা। সব কিছু বিক্রি করে দিতে চাইছে। তাহলে সরকারের কাজ কি শুধু দেশের সম্পদ বিক্রি করা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। জ্বালানির দাম, রান্নার গ্যাসের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিজেপি সরকারের আমলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এমনকি সরকার আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি না করে সমস্ত জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি করছে না। এবং শ্রমিকদের ৪৪ টি শ্রম আইন ৪ টি শ্রম কোডে পরিণত করেছে। এতে শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ছাঁটাই করার অধিকার মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আগের আইনের রক্ষাকবচ গুলি এখন আর শ্রমিকদের জন্য নেই। তাই সরকারকে শ্রম কোড বাতিল করার জন্য এ ধর্মঘট গুরুত্বপূর্ণ। সরকার কৃষকদের যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেগুলিও রক্ষা করছে না। সেসব প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্যও এই আন্দোলন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বর্তমান সময়ে ধর্মঘট অন্যতম হাতিয়ার। কারণ ৫ রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপি সরকার আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে গেছে। ত্রিপুরা রাজ্য হামলা হুইচ চুক্তি সংঘটিত হচ্ছে। মানুষের উপর আক্রমণ বাড়ছে। তাই সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, দেশের দিশা ঘুরাবে কৃষক-শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।