Saturday, January 25, 2025
বাড়িরাজ্যজোট সরকার গঠন করেও সম্বিত ফিরে নি সরকারের : জিতেন্দ্র

জোট সরকার গঠন করেও সম্বিত ফিরে নি সরকারের : জিতেন্দ্র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ জুলাই : কেন্দ্রীয় বাজেটে বিরুদ্ধে শনিবার আন্দোলনের শামিল হলো সিপিআইএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটি। শনিবার দুপুরে ভানু ঘোষ স্মৃতি ভবনের সামনে থেকে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা এই বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, সিপিআইএম পশ্চিম জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস, প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে, প্রাক্তন সংসদ শংকর প্রসাদ দত্ত সহ অন্যান্য। সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে সিপিআইএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি যে বাজেট পেশ করেছে সেটা দেশের কর্পোরেটদের আরো সম্পদশালী করার বাজেট। এই বাজেটে দেশে বেকার বাড়বে। জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। গরিব আরও বেশি গরিব হবে।

 এই বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কোন কিছুরই উল্লেখ নেই। কেন্দ্রীয় সরকার শুধু ধনী শ্রেণীর মুনাফা বাড়ানোর জন্য এই বাজেট পেশ করেছে। তাই সিপিআইএমের পক্ষ থেকে এই জনবিরোধী বাজেট জনগণের সামনে তুলে ধরা হতো বলে জানান তিনি। মিছিলের পর একটি সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় মুখ্য বক্তা বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে কামান দাগেন নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারকে। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর লজ্জাজনক ভাবে সরকার গড়ায় মানুষ ভেবেছিল একটু হলেও সম্বিত ফিরবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকারের। কারণ জোট হয়ে সরকার গঠন করতে হয়েছে তাদের। কিন্তু সম্বিত ফিরে নি সরকারের। আর এটা না ফেরার কথাই! কারণ এই সরকারকে পরিচালনা করে আরএসএস। যারা দেশের একাংশ মানুষের স্বাচ্ছন্দ ও বিকাশের কথা চিন্তা করে। তাই বিজেপি শিক্ষা নেয়নি লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল থেকে। তারা আবার বলছে বিকাশের কথা। কিন্তু বিকাশ তখনই হবে যখন শুধুমাত্র আদানি আম্বানির নয়, দেশের ১৪০ কোটি মানুষের সমানভাবে বিকাশ হবে। বিরোধী দলনেতা আরো বলেন, ২০১৪ সালে সরকার গঠনের আগে নরেন্দ্র মোদির মানুষকে বলেছিলেন স্বামীনাথন কমিশন দেশের কৃষকদের জন্য তিনি কার্যকর করবেন। কিন্তু দেখা গেছে গত ১০ বছরেও সেই স্বামীনাথন কমিশন কার্যকর করেনি সরকার। ফলে কৃষকদের দাবি-দাওয়া পূরণ না হওয়ায় এটি কৃষক বিরোধী বাজেট। অপরদিকে দেশের বিগত বাজেটে রেগার মজুরি জন্য এক লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু এবার দেখা গেছে তা কমিয়ে ৮৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।

 উপরন্ত বিগত অর্থ বছরের বকেয়া মজুরী রয়ে গেছে। তারপর এই বাজেট এর অর্থ তারপর এই ৮৬ হাজার কোটি টাকা থেকে কতটা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাবে সেটাই বড় প্রশ্ন। তিনি আরো বলেন রেল দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে মূলত কারণ হলো সবচেয়ে বেশি কর্মী সংকট তৈরি হয়ে আছে রেল মন্ত্রকে। সরকার রেল মন্ত্রকে কর্মী নিয়োগের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। নরেন্দ্র মোদি সরকারকে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে আরো বলেন, ২০১৪ সালের আগে রেলের জন্য পৃথক বাজেট ছিল। যা বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে দেশে। যার কারণে জেল পরিষেবার দেওয়ার জন্য কোন সংস্কারও হচ্ছে না। এভাবেই তীব্র সমালোচনা করলেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। আয়োজিত সভায় এদিন কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষ্যনীয়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য