আগরতলা, ২২ মার্চ (হি.স.) : বিধানসভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনা আজ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাবের উপর আলোচনার সূচনা করেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। এছাড়াও আরও ৯ জন বিধায়ক আলোচনায় অংশ নেন। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী দলনেতা সহ বিরোধীরা বাজেটের সমালোচনা করেছেন। ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যরা বাজেটের সুফল বর্ণনা দিয়েছেন। এদিন বাজেটের পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনায় সরগরম ছিল বিধানসভা অধিবেশন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বিধানসভায় ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনার সূচনা করে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেন, এটা জনগণের স্বার্থরক্ষার বাজেট নয়। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ত্রিপুরাবাসীর উৎসাহ নেই। তাঁর দাবি, এই বাজেট গরিবের কল্যাণে সুফলদায়ী হবে না। তাই, তিনি এই বাজেটকে সমর্থন করতে পারছেন না।
এদিন আলোচনায় অংশ নিয়ে ট্রেজারি বেঞ্চের বিধায়ক ডা. দিলীপ কুমার দাস প্রস্তাবিত বাজেটকে পূর্ণ সমর্থন জানান। তিনি বলেন, মানুষের উন্নয়নের জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই এই বাজেটে রয়েছে। বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস প্রস্তাবিত বাজেট সমর্থন করে বলেন, মডেল ত্রিপুরা গড়ার জন্য যা দরকার তা প্রস্তাবিত বাজেটে রয়েছে। বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং বলেন, এটা ঐতিহাসিক বাজেট। সবাই যেন এই বাজেট সমর্থন করেন।
বিধায়ক প্রশান্ত দেববর্মা বাজেট প্রস্তাবকে সমর্থন জানাতে গিয়ে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে রাজ্যের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর কল্যাণে রাজ্য সরকারের কাজের কথা তুলে ধরেন এবং বাজেট প্রস্তাব সমর্থন করেন। বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, সব-কা সাথ সব-কা বিকাশের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে। তিনি বলেন, ছামনুর দুটি স্কুলও বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটের বিরোধিতা করে আলোচনা করেন বিধায়ক রতন কুমার ভৌমিক, বিধায়ক প্রভাত চৌধুরী এবং বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন।