Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যপঞ্চায়েত লুটের জায়গা, হিসেব-নিকেশ নেই, তাই পঞ্চায়েত দখলে নিতে বিজেপি ভোট করতে...

পঞ্চায়েত লুটের জায়গা, হিসেব-নিকেশ নেই, তাই পঞ্চায়েত দখলে নিতে বিজেপি ভোট করতে চাইছে না : মানিক সরকার

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ জুলাই : চিরদিন সবার এক রকম যায় না। একবার ক্ষমতা দখল করলে আমরাই শেষ, আমার ওই থাকবো – এটা ঘটনা নয়। এটাই প্রমাণিত হয়েছে গত ৪০ দিনে। দেশে মাত্র ৪০ দিনের ব্যবধানে দুটি বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এর মধ্যে একটি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হয়েছে এমনটা নয়, একক ভাবে ক্ষমতায় আসতে পারেনি তারা। অপরটি হলো ৪০ দিনের মধ্যে ১৩ টি আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে মাত্র দুটি আসন পেয়েছে বিজেপি।

 বাকি দশটি আসন পেয়েছে ইন্ডিয়া জোট এবং একটি আসন পেয়েছে নির্দল। যে একটি আসন নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন তিনিও ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন। এর থেকে শিক্ষা নিতে হবে বিজেপি -কে। আগের মতো আর ছুঁড়ি ঘুরাতে পারবে না। কারণ বিজেপিকে যারা পরিচালনা করে তারা হলেন আরএসএস। আরএসএস -এর এই ধরনের ফলাফলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এর থেকে শিক্ষা নিতে আরএসএস মোদিকে জনবিরোধী কাজগুলি নিয়ে সমালোচনা করে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। বুধবার সি আই টি ইউ কার্যালয়ে রমেন্দ্র (চন্দন) দাশগুপ্তের স্মরণ সভায় বক্তব্য রেখে এই কথা গুলি বলেন পলিটব্যুরোর সদস্য তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে নেই। তাই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। ছোট পরিসরে হলেও জনবিরোধী কাজকর্মের বিরুদ্ধে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন, ডেপুটেশন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিতে হবে বলে জানান তিনি। সম্প্রতি রাজনগরের প্রয়াত প্রার্থী বাদল শীলের হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বনধের বিষয়ে আরো বলেন, গত রবিবার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বনধ পালন করেছে।

বিজেপি রাস্তায় নেমে মানুষকে বনধ পালন না করার জন্য বললেও মানুষ সেদিন ঘর থেকে বের হয়নি, বাজার হাটে যায়নি, গাড়িতে উঠেনি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সেদিন মানুষ খার্চি পূজাতেও তেমন লক্ষণীয়ভাবে অংশ নেয় নি। এর থেকে প্রমাণিত মানুষ সরকারের উপর আস্থা রাখতে পারছে না। এবং সরকারও মানুষকে বিশ্বাস করতে পারছে না। শুধু তাই নয়, দলের মধ্যেও অবিশ্বাসের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দিতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচন হলো সবচেয়ে লুটের জায়গা। এখানে হিসেব-নিকেশ নেই। আয় উপার্জনের কেন্দ্র পঞ্চায়েত। তাই পঞ্চায়েত দখলে নিতে বিজেপি ভোট করতে চাইছে না। যদি ভোট করে তাহলে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। তাই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কারণ যারা সরকার পরিচালনা করছে তারা চরমপন্থী শক্তির অংশীদারী বলে এদিনের স্মরণসভা থেকে দাবি করেন মানিক সরকার। আয়োজিত স্মরণ সভায় এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে, সংগঠনের নেতৃত্ব রমা দাস সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য