Friday, January 17, 2025
বাড়িরাজ্যচন্তাই রাজার হাত দিয়ে শুরু হলো সম্প্রীতির উৎসব খার্চি পূজা

চন্তাই রাজার হাত দিয়ে শুরু হলো সম্প্রীতির উৎসব খার্চি পূজা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ জুলাই : শনিবার সন্ধ্যায় চন্তাই রাজার হাত দিয়ে শুরু হলো সম্প্রীতির উৎসব। শনিবার পুরাতন হাভেলির সমগ্র প্রান্ত জুড়ে আবার পুরনো দিনের কথা ও সুর বেজে উঠেছে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এই বছরও পুরাতন হাভেলির চৌদ্দ দেবতা মন্দিরে শুরু হয়েছে  সার্বজনীন খার্চি উৎসব।

৭ দিনব্যাপী আয়োজিত এই খার্চি  উৎসবের দিনগুলিতে পুরাতন হাভেলির সমগ্র প্রান্ত জুড়ে আবার পুরনো দিনের কথা ও সুর  বেজে উঠেছে। শনিবার চিরা চরিত প্রথা অনুযায়ী চৌদ্দ দেবতার বিগ্রহ গুলিকে মন্দির থেকে বের করে আনা হয়। চৌদ্দ জন গালিমের কোলে করে চৌদ্দ দেবতার বিগ্রহের পূজার্চনা সম্পন্ন হয়। প্রদান করা হয় গার্ড অফ ওনার। এরপর রাজ চন্তাইয়ের তত্ত্বাবধানে একে একে চৌদ্দ দেবতার বিগ্রহ গুলি নিয়ে শুরু হয় শোভাযাত্রা। এই বিগ্রহ গুলিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া নদীর ঘাটে। পথের দুই প্রান্তে হাজারো ভক্তের সমাগম ঘটে। ধূপের ধোয়া, উলুধ্বনি, শাখের আওয়াজ, মোমবাতির আরতি আর ঢাকের শব্দে এক অন্যমাত্রায় পৌঁছে যায় গোটা পথ। শুক্রবারের অধিবাসের পর এদিন থেকে শুরু হয় মূল পূজা। স্নান যাত্রা শেষে ফের বিগ্রহ গুলিকে আনা হয় চৌদ্দ দেবতা বাড়িতে। সেখানে মূল মন্দিরের সঙ্গে নাট মন্দিরে রাখা হয় বিগ্রহ গুলিকে। সেই খানেই ধর্মীয় আচার মেনে রাজচন্তাই পূজার শুভারম্ভ করেন। দেওয়া হয় বলি। খার্চি পূজায় চণ্ডী পাঠের দায়িত্বে থাকা পুজারি জানান এইদিন চৌদ্দ দেবতার স্নান যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাতে হবে দেবতার অধিবাস পূজা। রাত্রি প্রায় ১১ টা নাগাদ হবে নিশি পূজা অর্থাৎ মূল পূজা। রবিবার সকালে স্নান যাত্রার পর শুরু হয়ে যাবে খার্চি পূজা।

৩০০ বছর ধরে এই খার্চি পূজা চলে আসছে। মহারাজার আমল থেকে পূজা শুরু হয়েছে। বর্তমানে গালিমেরা পূজা করেন। পুজাকে কেন্দ্র করে হয় মেলা। আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষে হয় এই পূজা।  ১০০০ বলি দেওয়া হবে পুজাকে কেন্দ্র করে। আগে এই পূজা ছিল জন জাতিদের। এখন এই পূজা হয়েছে সার্বজনীন। মহারাজের আমল থেকে চলে আসা এই ঐতিহ্যবাহী পূজায় বহু মানুষের সমাগম ঘটে। ত্রিপুর রাজার আমল থেকে এই পূজা শুরু হয়েছে। এরপর বংশ পরম্পরায় মানুষ এই পূজায় সমবেত হচ্ছেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য