স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ জুলাই : ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা পর প্রথম বামফ্রন্টের জেলা পরিষদের প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দেন বৃহস্পতিবার। বামফ্রন্ট প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানিয়ে এদিন একটি মিছিলও সংঘটিত হয় আগরতলা শহরে। সিপিআইএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে মিছিলটি রাজধানীর মেলারমাঠ থেকে শুরু হয়ে আগরতলা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। মিছিলের অগ্রভাগে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ন কর, সিপিআইএম সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পবিত্র কর সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
বামফ্রন্টের আহবায়ক সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, বামফ্রন্টের জেলা পরিষদের প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসারের কাছে আজ মনোনয়নপত্র জমা দেন। তিনি বলেন, রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার জামানায় রাজ্যে লুট চলছে চারিদিকে। বিশেষ করে রাজ্যের গ্রামের মধ্যে একটা শ্রেণী রয়েছে যারা কোন কাজকর্ম না করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে। এই টাকা গ্রামের মানুষের উন্নয়নের জন্য আসা টাকা। তাই এই লুটেরা বাহিনীকে পরাজিত করতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই হবে বিজেপি বনাম আমজনতার। যারা বিজেপির সাথে আছে তাদের কাছে আহ্বান জানানো হচ্ছে তারা যাতে এই লুটেরা বাহিনীকে পরাজিত করে জনগণের পঞ্চায়েত তৈরি করে।
পাশাপাশি কংগ্রেসের সাথে জোট হয়ে লড়াই করবে কিনা সে বিষয় নিয়ে নারায়ণ কর বলেন, আসলে নির্বাচনে জোট হয়ে লড়াই করবে কিনা সে বিষয়ে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের নেতৃত্বদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক যে নীতি রয়েছে তার চাকায় মানুষ পৃষ্ট হচ্ছে। এবং তারা বেশকিছু জনবিরোধী অর্থনৈতিক নীতি চালু করতে চাইছে। কিন্তু রাজ্যের গ্রাম পাহাড় সর্বত্র অর্থ ও খাদ্য সংকট তৈরি হয়ে আছে। এই পরিস্থিতিতে তারা আবারও অর্থনৈতিক বিরোধী নীতি চালু করতে চাইছে। কিন্তু তারা জানে না আগের মত বুলডোজার জনগণের উপর চালাতে পারবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। পরে সদর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ের সামনে একটি সভা ও অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ তুলেন, রাজ্যে কোন গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। ২০১৮ সালের পর যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলিতে প্রহসন হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হতে চলেছে। এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বিভিন্ন সময় দাবি তোলা হয়েছে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে যাতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দায়ছাড়া কিছু মনোভাব গ্রহণ ছাড়া আর কিছু করেনি নির্বাচন কমিশন। এবং আসন্ন নির্বাচন শান্তি পূর্ণ হবে কিনা তারও কোন আশ্বাস দিতে পারেননি। তিনি আরো অভিযোগ তুলে বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর নতুন কমিটি পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নের জন্য কোন কাজ করেনি। পরে মনোনয়ন পত্র রিটানিং অফিসার ডঃ বিশাল কুমারের হাতে তুলে দেন।