Wednesday, March 26, 2025
বাড়িরাজ্যবাস গাড়ির সঙ্গে বাইক ও স্কুটির বীভৎস দুর্ঘটনায় মৃত ২, আহত ১

বাস গাড়ির সঙ্গে বাইক ও স্কুটির বীভৎস দুর্ঘটনায় মৃত ২, আহত ১

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ জুলাই : আবারো ভয়ঙ্কর যান দুর্ঘটনা বিশালগড়ে। বাস গাড়ির সঙ্গে বাইক ও স্কুটির বীভৎস দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান বাইকের চালকসহ দুই তরতাজা যুবক। ভয়ংকর এই  দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় বিশালগড় জাঙ্গালিয়া স্থিত বিদ্যুৎ অফিসের সামনে আগরতলা সাবরুম জাতীয় সড়কে। মৃত বাইক চালকের নাম রাকেশ দেবনাথ পিতা জগদীশ দেবনাথ , বাড়ির উদয়পুর।

 এবং অপরজন মৃত বাইক আরোহীর নাম প্রণব দাস পিতা যুবরাজ দাস বাড়ি আর কে পুর থানাধীন মাতারবাড়ি এলাকার ফোটা মাটি তে। ঘটনার বিভিন্ন জানা যায়, t r ০৩ ১৪১৯ নম্বরের একটি বাস গাড়ি উদয়পুর থেকে আগরতলা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। অপরদিকে টি আর ০৩ এইচ ৮৮২৭ নম্বরের একটি বাইক চেপে দুইজন উদয়পুরের দিকে যাচ্ছিলেন। বিশালগড় জাঙ্গালিয়া স্থিত কারেন্ট অফিস এর সামনে আসতেই ভয়ঙ্কর দানবীয় গতিতে আসা বাসগাড়ীর একেবারে মুখোমুখি সংঘর্ষে পড়েন বাইকটি। সঙ্গে সঙ্গে বাইক থেকে ছিটকে পড়েন দুজন এবং দানবীয় গতিতে থাকা বাস গাড়িটির বাইকটিতে পিষে আধ কিলোমিটার দূরে গিয়ে গাড়িটি থামেন।

 বাইকটির পেছনে থাকা টি আর জিরো ওয়ান এ জে ৪৫ ১৭ নম্বরের একটি স্কুটিকে ধাক্কা মারে। স্কুটিতে থাকা চালক প্রসেনজিৎ ভৌমিক( পিতা পরেশ ভৌমিক বাড়ি চরিলাম ছেচুড়ি মাই ) মারাত্মকভাবে জখম হন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিশালগড় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তিনজনকেই বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক বাইকে থাকা দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং স্কুলটির চালকের শারীরিক অবস্থা জটিল হওয়ায় তড়িঘড়ি তাকে রাজধানীতে রেফার করে দেওয়া হয়। ঘটনা স্থলে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান বিশালগড় থানার পুলিশ এবং মহকুমা হাসপাতালেও তড়িঘড়ি ছুটে যান বিশালগড় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দুলাল দত্ত। বর্তমানে মৃত দুটি দেহই বিশালগড় হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আগামীকাল ময়না তদন্তের পরে পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেয়া হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। এদিকে বাস গাড়ির চালক সহ গাড়িটিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় উপস্থিত জনতা। প্রসঙ্গত উল্লেখ, আগরতলা সাব্রুম জাতীয় সড়কের মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারিভাবে দুর্ঘটনা প্রবনএলাকা বলে চিহ্নিত হয় রয়েছে বিশালগড় জাঙ্গালিয়া থেকে বিশ্রামগঞ্জ পর্যন্ত। গড়ে এমন কোন মাস নেই যেখানে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা এই জায়গায় ঘটেনি এবং কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। প্রতিটা মৃত্যুর ঘটনার পর পুলিশ হাতেগোনা এক দুই দিনের জন্য ব্যাপক তৎপরতা দেখায় সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক ব্যবস্থা করেন কিন্তু দুই তিন দিন গেলেই সবকিছু উধাও হয়ে যায় এরপর আবার কয়েকদিন পর পুনরায় দুর্ঘটনায় কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে পুলিশের তৎপরতার পুনরাবৃত্তি ঘটে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য