স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ জুলাই : ডিজি সংস্কৃতিতে আকৃষ্ট আজকের ছেলে মেয়েরা। সে সংস্কৃতি রুখে দিয়ে নিজেদের গান বাজনার সংস্কৃতি কাজে লাগাতে সরব হয়েছে সংস্কৃতি বলয়। তাদের দাবি শারদীয়া উৎসব হোক কিংবা অন্য যে কোনো অনুষ্ঠান, ত্রিপুরা রাজ্যেও ছেয়ে গেছে ডি জে সংস্কৃতিতে। যা ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতির পরিপন্থী। এই ডি জে সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে যুবক যুবতী সহ মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিদের উশৃংখল নৃত্যও।
যা কখনোই বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে সাযোজ্যপূর্ণ নয়। যা নিয়ে এবারে সরব হল বাংলা সংস্কৃতি বলয় এর আগরতলা সংসদ। সোমবার বিকেলে আগরতলা সংসদের একটি প্রতিনিধি দল তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। ভারতীয় সংস্কৃতির ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডি জে সংস্কৃতিকে বন্ধ করার দাবি জানানো হয় অধিকর্তার কাছে বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের আগরতলা সংসদের পক্ষ থেকে। ক্লাবগুলোর পাশাপাশি মহিলা কমিশন, ত্রিপুরা পুলিশ সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেও তারা এদিন ডি জে সংস্কৃতি বন্ধ করার আবেদন জানান। উল্লেখ্য, সংস্কৃতি বলায় এ দিন যে দাবিতে জনসম্মুখে তুলে দেওয়া হচ্ছে তা কতটা গ্রহণযোগ্য সেটা চিন্তার বিষয়।
ডিজে -র মাধ্যমে যদি শব্দ দূষণ হয়ে থাকে তাহলে সেটা দেখা হয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড। শব্দ নিয়ন্ত্রণে রেখে সেটা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করতে পারে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ডিজে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য দাবি জানানোর কেউ হয় না সংস্কৃতি বলয়ের প্রধান মুখ গুলো। তারা দাবি করতে পারতেন, দেশের কিংবা রাজ্যের সংস্কৃতি অনুযায়ী গান-বাজনার উপর মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য সরকার পচার মাধ্যমকে কাজে লাগানোর, কিন্তু সেটা না করে বহু বেকারের পেটে লাথি মারার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে সংস্কৃতি বলয়। এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।