Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যবিদ্যাযোতি স্কুলের অধ্যক্ষের গলায় জুতোর মালার পোস্টারিং

বিদ্যাযোতি স্কুলের অধ্যক্ষের গলায় জুতোর মালার পোস্টারিং

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ জুলাই :  চম্পকনগর এইচএস স্কুলের অধ্যক্ষের কৃষ্ণলীলায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। আরো স্পষ্ট করে বললে এই অধ্যক্ষের সৌজন্যে ধ্বংসের মুখে বিদ্যাজ্যোতি এই স্কুল। অধ্যক্ষের নাম দিজলাল দেবনাথ। এলাকাবাসীর অভিযোগ শিক্ষকতা বাদ দিয়ে এমন কোন গুণ নেই, যে গুণের মাস্টার তিনি নন। শিক্ষক এই দিজলালের চরিত্র নাকি একদমই কয়লার  মতো কালো। কালো গুণ গুলো তার, মাঝে মাঝে স্কুলের কয়েকজন দিদিমনিকে নিয়ে একটু পার্কে যান আরকি। সময় সময় কোনো কোনো দিদিমনিকে নিজের বাইকে করে লিফট ও দেন। প্রায় দিনই হালকা রঙ্গিন জলে নিজের আমেজ মেটান।

এই আর কি। আর তেমন কিছু নয়, তার চরিত্র নিয়ে স্কুলের আশপাশে খোঁজ নিলেই হয়ে যাবে। হুড়মুড়িয়ে সব বলে দেবেন এলাকাবাসী।  একই সঙ্গে বিদ্যাযোতি এই স্কুলে এখন সিসিটিভি ক্যামেরা ও আছে। শিক্ষা দপ্তর থেকে এই ক্যামেরা গুলো চেক করলেই দিজলালের  চরিত্রের খোঁজ পেয়ে যাবেন আধিকারিকরা। তবে খবরটা প্রকাশিত হবার পর এই ফুটেজগুলো আদতে থাকবে কিনা, তা নিয়ে ও কিন্তু যথেষ্ট ভাবনার বিষয় রয়েছে। এই শিক্ষকের জ্বালায় রীতিমতো অতিষ্ট এলাকার জাতি, জনজাতি লোকজন। স্কুলে তো পঠন পাঠনের পরিবেশ একদমই লাটে। লাটে উঠাটাই স্বাভাবিক। দিজলালের যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে এবার স্কুলের আশপাশে কে বা কারা তার বিরুদ্ধে করলো পোস্টারিং। পোস্টারিং এ তার আসল চরিত্র লিখে দিলো কে বা কাহারা। একটা বিদ্যাযোতি স্কুলের অধ্যক্ষের নামে পোস্টারিং তাও জুতার মালা দিয়ে বিষয়টা ভাবলে সত্যি ই লজ্জাস্কর। যতটা রটে ততটা না হলে ও একজন বিদ্বাজ্যোতি স্কুলের অধ্যক্ষের পোস্টারিং করা হলো জুতোর মালা গলায় দিয়ে  ভাবনার বিষয় বিষয়টা এটা।

শিক্ষা দপ্তরের এই বিষয়টার প্রতি শীগ্রই নজর দেয়া দরকার। রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে এক নতুন দিশায় নিয়ে যেতে বেশ কিছু স্কুলকে উন্নীত করলো বিদ্যাযোতি প্রকল্পে। এই স্কুলটিকে ও এই প্রকল্পের আওতায় নিলো রাজ্য সরকার। তবে এই স্কুলের অধ্যক্ষের এত যে গুণ রয়েছে, তা হয়তো জানা নেই রাজ্য সরকারের। একই সঙ্গে শিক্ষা দপ্তরের ।এই গুণধর অধ্যক্ষের যাবতীয় সব বিষয়গুলো অতি দ্রুত দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন এলাকাবাসী। না হলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই স্কুল গঙ্গাপ্রাপ্তিতে চলে যাবে  তখন এর দায়ভার কে নেবে, প্রশ্ন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মহলের। প্রাপ্ত খবর এরকম যে, আগরতলা শহরের শিক্ষা ভবনে আসার জন্য এই অধ্যক্ষ দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল এই শিক্ষা ভবন থেকেই বিগত কয়েক বছর পূর্বে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল গুণধর চরিত্রের জন্য। এই ইতিহাস সবার জানা। এবার আবার এই গুণধর দ্বিজলাল চেষ্টা করছেন শিক্ষাভবনে নিজের কলকাঠি নাড়তে। বিষয়টা যথেষ্ট উদ্বেগের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য