স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ জুন : বিকাশ পৌঁছায় নি মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের একাংশ বিস্তীর্ণ এলাকায়। ২০১৮ -তে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নোনাছড়া এডিসি ভিলেজের প্রজাবাহাদুর মলসুম এলাকার মানুষ এখনো নির্ভর করে মাটি খুঁড়ে গর্তের জলের উপর। এলাকার বেশিরভাগ পরিবারই জুম চাষের উপর নির্ভর করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে।
যুগ যুগ ধরে তারা পানীয় জল থেকে বঞ্চিত। এই বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় ৫০ পরিবারের বসবাস। রাজ্যে বর্তমানে সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তার শুনেছিল ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সবকা সাথ, সবকা বিকাশের গল্প। কিন্তু দীর্ঘ ছয় বছর বয়স হয়ে গেল বর্তমান সরকার এ প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি পানীয় জল। এবং ফ্লপ হয়েছে জল জীবন মিশন প্রকল্পের গল্প।
তাই আজও উন্নয়ন পৌঁছায়নি গ্রামে। যত দিন যাচ্ছে, পানীয় জলের সমস্যা তীব্রতার আকার ধারণ করছে। বিশুদ্ধ পানীয় জলের স্থায়ী কোন ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবহারের অযোগ্য জল দিয়ে আদিকাল থেকে ব্যবহার করছে বলে জানান এক জনজাতি মহিলা। দীর্ঘ বছর ধরে গর্তে করে জল সংগ্রহে পানীয় জলের চাহিদা পূরণ করছে তারা। তবে বিগত দিন জনপ্রতিনিধিদের অবগত করলে তারা মাঝেমধ্যে পানীয় জল গাড়ি দিয়ে পাঠাতো। কিন্তু নিয়মিত পানীয় জল পাঠায় নি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, কাঁকড়াছড়া এডিসি ভিলেজের অন্তর্ভুক্ত নোনা ছড়া এলাকায় জল জীবন মিশন প্রকল্পে এলাকার জনজাতি অংশের মানুষের জন্য স্থায়ী ভাবে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানো হয়েছিল মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার হাত ধরে। কিন্তু ওই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি উদ্বোধন হওয়ার পর ৩ দিন জল সরবরাহ করা হয়। এরপর এই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। জানা যায় ওই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি প্রায় ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছিল। এই সমস্যার কথা নেতা মন্ত্রীদের জানিয়েও কাজের কাজ হয়না বলে অভিযোগ।