Thursday, March 27, 2025
বাড়িরাজ্যস্বামী পরকীয়ায় মগ্ন হয়ে নিখোঁজ, পুলিশ বলছে একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করতে...

স্বামী পরকীয়ায় মগ্ন হয়ে নিখোঁজ, পুলিশ বলছে একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করতে পারে, পরকীয়া বৈধ – সন্তানকে কোলে নিয়ে অসহায় গৃহবধূ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ জুন : স্ত্রী ও সন্তানকে ফেলে দীর্ঘ দেড় মাস ধরে নিখোঁজ পরকীয়া মগ্ন স্বামী। স্ত্রীর অভিযোগ স্বামী নন্দন দাস প্রতাপগড় এলাকার শিল্পী সাহা নামে এক মহিলাকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। যাওয়ার সময় গৃহবধুর স্বর্ণালংকার, ঘর থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন নথিপত্র নিয়ে গেছে। নিখোঁজ নন্দন দাস পেশায় গাড়ি চালক। জানা যায়, জিরানিয়া প্রিয়াংকা মালাকারকে ২০২০ সালে বিয়ে করেছিলেন বিশালগড়ের নন্দন দাস।

কিন্তু বিয়ের পর থেকে পারিবারিক অশান্তির কারণে স্বামীকে নিয়ে রাজধানীর কবিরাজটিলা এলাকায় ভাড়া থাকতেন গৃহবধূ। কিন্তু গত দেড় মাস আগে সাব্রুম যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন নন্দন। তারপর থেকে নিখোঁজ সে। আত্মীয় পরিজন থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পর কোথাও সন্ধান মিলেনি স্বামীর। শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে গৃহবধূর। পুলিশ কোনরকম সহযোগিতায় হচ্ছে না বলে জানান গৃহবধূ প্রিয়াঙ্কা মালাকার। শনিবার আগরতলা প্রেস ক্লাবের সামনে এসে গৃহবধূ প্রিয়াংকা সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের জানান, গত ১৬ মে থেকে নিখোঁজ তার স্বামী। আগরতলা শহরের বিভিন্ন থানায় ঘুরে নিখোঁজ মামলা করাতে পারেনি। পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয় যেহেতু নিজ ইচ্ছায় চলে গেছে তাই কোন নিখোঁজ মামলা হবে না। শেষ পর্যন্ত গত ২৯ মে একটি নিখোঁজ মামলা করে অরুন্ধতীনগর থানায়। তারপর পুলিশ জানিয়ে দেয় যদি তার স্বামীর সন্ধান পাওয়া যায় তাহলে জানানো হবে। পরবর্তী সময়ে ৭ জুন থানায় গেলে পুলিশ গৃহবধূকে পাত্তাই দেয়নি বলে অভিযোগ। পুলিশ আরো জানিয়ে দেয় নতুন আইন বের হয়েছে, একজন পুরুষ লোক চারটি বিয়ে করতে পারবে এবং পরকিয়া বৈধ।

তারপর অসহায় গৃহবধূ সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের দ্বারস্থ হয়। সংবাদ মাধ্যমে কর্মীরা যখন অরুন্ধতী নগর থানার ওসি -কে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে তখন তিনি জানিয়ে দেন মহিলাকে ফোন করার জন্য বলে দিতে। যথারীতি মহিলা ওসি -কে ফোন করলে ওসি সাহেব জানিয়ে দেন পশ্চিম মহিলা থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করার জন্য। তারপর পশ্চিম মহিলা থানায় আসার পর পুলিশ জানিয়ে দেয় নিখোঁজ স্বামীকে না পেলে কোন মামলা নেবে না পুলিশ। তারপর পশ্চিম মহিলা থানার পুলিশকে অসহায় গৃহবধূ অনুরোধ করলে বলে দেওয়া হয় পরের দিন যাওয়ার জন্য। পরের দিন গেলে পুলিশের রেজিস্টারি খাতার মধ্যে শুধু অভিযোগ গ্রহণ করেছে। কোন মামলা রাখেনি পুলিশ। বরং বলে দেওয়া হয় অরুন্ধতী নগর থানায় গিয়ে পুলিশকে বলার জন্য তার নিখোঁজ স্বামীর ঠিকানা বের করে দেওয়ার জন্য। এভাবে থানার দরজায় দরজায় ঘুরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে অসহায় গৃহবধু। গৃহবধুর আরো অভিযোগ স্বামী তাকে বিভিন্নভাবে ফোনের মাধ্যমে হুমকি ধমকি দিয়ে চলেছে। স্বামী নিখোঁজ হওয়ার সময় গৃহবধুর স্বর্ণালংকার সহ বিভিন্ন নথিপত্র নিয়ে গেছে। বর্তমানে দিশেহারা হয়ে স্বামীকে খুঁজছে গৃহবধূ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য