স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ জুন : কমলপুর শহরের হারের খোলা হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রাজেশ দাস, বয়স ৩৭ বছর। পিতা মৃত নির্মল চন্দ্র দাস। রাজেস দাসের বড় ভাই রাকেশ দাস জানান তার ছোট ভাই রাজেশ দাস অবিবাহিত। রাজেশ প্রায় সময় মদ্যপান করতো। বিগত চার থেকে ৫ দিন ধরে ভাত খেত না রাজেস। তবে বৃহস্পতিবার সে মদ্যপান করেনি। বৃহস্পতিবার বিকালে এলাকায় প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল। রাকেশ দাসের ধারনা সন্ধ্যার সময় রাজেস পুকুর পাড়ে গিয়েছিল পুকুর থেকে মাছ বেড়িয়ে যাচ্ছে কিনা দেখার জন্য।
পুকুর পাড়ে যাওয়ার পর রাজেশ পুকুরের জলে পরে যায়। তারপর সে আর পুকুরের জল থেকে উঠতে পাড়ে নি। গভীর রাত পর্যন্ত রাজেশকে দেখতে না পেয়ে তার মা বড় ছেলে রাকেশকে ঘটনার বিষয়ে জানায়। রাকেশ রাতের বেলায় অনেক খুজা খুজি করে। কিন্তু রাজেসের কোন হদিশ পায় নি। শুক্রবার সকালে রাকেশ নিজেদের পুকুরে ছোট ভাই রাজেশের ভাসমান মৃতদেহ দেখতে পায়। রাকেশ ছোট ভাই রাজেসের মৃতদেহ পুকুরের জলে দেখতে পাওয়ার পর ঘটনার বিষয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের জানায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কমলপুর থানার পুলিশ ও এলাকার লোকজন। পুকুরের জল থেকে উদ্ধার করা হয় মৃতদেহ। তারপর ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কমলপুর বিমল সিংহ মেমোরিয়াল হাসপাতালে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।