Saturday, May 31, 2025
বাড়িরাজ্যঅজস্র মৌমাছির বাসা! প্রশাসনিক উদাসীনতায় বাড়ছে ঝুঁকি

অজস্র মৌমাছির বাসা! প্রশাসনিক উদাসীনতায় বাড়ছে ঝুঁকি

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ জুন : ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি চাক বেঁধে আছে জলের ট্যাংকে। এর মাত্র কুড়ি মিটারের মধ্যে কমলপুর গভমেন্ট ইংরেজি মাধ্যম দ্বাদশ বিদ্যালয়। ৩০ মিটারের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের আদালত এবং সরকারি টুরিস্ট লজ। ৭০ মিটারের মধ্যে আনন্দ মার্গ বিদ্যালয়। ২০০ মিটারের মধ্যে কমলপুর মডেল এস বি স্কুল। ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৪২৫ জন। রয়েছে পি এম শ্রী কৃষ্ণচন্দ্র বালিকা দ্বাদশ বিদ্যালয়। ছাত্রী সংখ্যা এক হাজারের অধিক। এছাড়া রয়েছে ঘনবসতি।

 আর এই সব কিছুর জন্য বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দফতরের পানীয় জলের ওভারহেড ট্যাংক। আর এর কারণ হচ্ছে ট্যাংকে কমপক্ষে ১৫ – ২০ টি মৌমাছির বিশাল চাক। জানা যায়, কিছুদিন আগে কমলপুর সরকারি কলেজে মৌমাছির একটি চাকে বাজপাখির হানায় আহত হয়েছিলেন প্রায় ৩০ জন ছাত্র শিক্ষক । আর এখানে পনেরো কুড়িটি বিশাল চাক বেঁধেছে। জলের ট্যাংকের শীতলতা এবং উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে দিব্যি আবাস তৈরি করেছে মৌমাছিরা। মাঝে মধ্যে স্থানীয় মানুষজন এই মৌমাছির আক্রমণ সহ্যও করেন ।

কিন্তু যদি আবার বাজপাখি বা চিলের মত শিকারী পাখি হামলে পরে তাহলে কি হবে? এই বিষয়ে কমলপুর গভমেন্ট ইংরেজি মাধ্যম দ্বাদশ বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ ভৌমিক জানান, গত এক বছর আগে কয়েকটি হাতে গোনা মৌমাছি চাক ছিল। বর্তমানে অজস্র মৌমাছির চাক বেঁধেছে সেখানে। যার ফলে ঝুঁকি বাড়ছে এলাকায়। এ বিষয়ে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোন ভূমিকা গ্রহণ করেননি তারা। যদি কোন বাজপাখি এই মৌমাছির চাকের মধ্যে আক্রমণ করতে আসে তাহলে মৌমাছি আক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে স্কুলে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা। এবং এলাকায় কচিকাঁচাদের একটি স্কুল রয়েছে। পাশাপাশি গোটা এলাকা ঘন বসতিপূর্ণ। এবং তিনি আরও জানান, যদি মৌমাছি ঝাঁক বেঁধে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর আক্রমণ করে তাহলে তিনি তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা নিতে পারবে না বলেও জানান তিনি। তাই এ বিষয়ে পুনরায় উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই বিষয়ে কৃষ্ণচন্দ্র বালিকা দ্বাদশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুফল শুক্লবৈদ্য আশঙ্কা ব্যক্ত করেন।

তিনি জানান, যে উচ্চতায় মৌমাছির চাকগুলো এবং যে অবস্থানে রয়েছে সেখানে স্বাভাবিক ভাবে চাকগুলো ভাঙ্গা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে আগুন ও জরুরি পরিষেবা দফতর বা দমকলের ওয়াটার গান ব্যবহার করে রাতের আধারে চাকগুলো ভাঙতে হবে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। একই সঙ্গে চাক ভাঙার পর জলের ট্যাংকের বাইরের দিক গ্রিজের আবরণে ঢেকে দিলে তবেই আর বাসা তৈরি করতে পারবে না মৌমাছি ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!