Monday, February 17, 2025
বাড়িরাজ্যবিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিন ওয়াক আউট করার কারণ জানালেন বিরোধী দলনেতা, প্রশ্ন...

বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিন ওয়াক আউট করার কারণ জানালেন বিরোধী দলনেতা, প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ মার্চ : রাজ্যপালের যে ভূমিকা থাকার কথা তা না থাকায় বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করা হয়েছে। কারণ রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বিস্তার করছে। তাই ওয়াক আউট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী দল। এদিন ওয়াকআউটের পর বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি জানান, বিধানসভা প্রথা অনুযায়ী রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে অধিবেশন শুরু হয় বাজেট অধিবেশন। বর্তমান সরকারের চার বছর পূর্ণ হয়েছে। এটা ছিল রাজ্যপালের পঞ্চম ভাষণ। তাই সংবিধানের রীতি নিতি দিকে সচেতন থেকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে উনার ভাষণ।

বিধানসভার অধিবেশন থেকে বের হয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন ক্ষোভ এবং দুঃখের সাথে। কারণ পরিস্থিতি বাধ্য করেছে। এদিন রাজ্যপালের ভাষন শুরু হওয়ার আগে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের পক্ষ থেকে সংক্ষেপে রাজ্যের পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু দেখা গেল বিরোধীদলের মাইক বন্ধ করে ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে শ্লোগান দিলেন এবং অধ্যক্ষ চোখের সামনে এগুলি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন। বিশেষ করে বিরোধী দলনেতা উঠে দাঁড়ানোর পর সম্মানের সাথে মাইক খুলে দিতে হয়। কিন্তু এদিন মাইক খুলে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপাল হলেন রাজ্যের প্রধান। তিনি রাজ্যের অভিভাবক। মানুষের সুখ-দুঃখ এবং প্রশাসন থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ব্যক্তিগতভাবে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নি। রাজ্যপাল রাজ্য প্রধান হিসেবে এবং জনগণের অভিবাবক হিসেবে‌ কি করা প্রয়োজন ও কি করা ঠিক না সে বিষয়ে সরকারকে বলতে পারেন। কিন্তু রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরেও রাজ্যপালের কোনো ভূমিকা নেই। আগে বিরোধী দল বলেছিল। এখন সাধারণ মানুষ বলছে। পুলিশ কাঠ পুতুল। শাসক দলের অঙ্গুলিহেলনে নির্বাচন থেকে শুরু করে যে কোন বিষয়ে তারা ভূমিকা নেয়।

 বিরোধী দলগুলোকে তাদের গণতান্ত্রিক কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ২৬ ফেব্রুয়ারি আগরতলা বুকে যা হয়েছে, তা মানুষ দেখছে। এই সরকারের আমলে ভোটের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। সর্বশেষ নিদর্শন হল পুর সংস্থা নির্বাচন। একদলীয় স্বৈরাচারী চালু হয় আছে। কাজ নেই, খাদ্য নেই, সন্তান বিক্রি করছে। সংবাদমাধ্যম আক্রান্ত হচ্ছে। আর এইগুলি নিয়ে মানুষ যখন কথা বলার চেষ্টা করে তখন রাজ্য প্রধান রাজ্যপালের কোন ভূমিকা নেই। তিনি চাইলে আরক্ষা প্রশাসনিক আধিকারিকদের ডেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নির্দেশ দিতে পারেন এবং রাজ্যের মানুষের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে পারেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাজ্যপালের কাছ থেকে এ ধরণের ভূমিকা দেখতে পায় নি রাজ্যবাসী। জনগণের দুঃখ-দুর্দশার নিয়ে কেউ সাক্ষাৎ করার পর্যন্ত সময় পাচ্ছেন না। কেউ দেখা করতে চাইলে বলা হচ্ছে তিনি অসুস্থ। কিন্তু যেই সাংবিধানিক দায়িত্ব নিয়ে আছেন রাজ্যপাল সেই দায়িত্বই যদি ভালো করে পালন করতে না পারেন, তাহলে উনার অস্তিত্ব নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক। আর আজকে তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যে বক্তব্য পাঠ করতে এসেছেন বিধানসভায়। তার কোন তাৎপর্য আছে কি তা জানতে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এখন উনার ভাষণ শুনতে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো আগ্রহ নেই। তাই বিরোধী দল কেন বসে থাকবে, মানুষ তাদের লড়াই করতেন বিধানসভায় পাঠিয়েছে। তাই জনগণের পক্ষ থেকে বিরোধীদের মনে হয়েছে রাজ্যপালের ভাষণ শোনার কোন আগ্রহ নেই। তাই এদিন ওয়াক আউট করা হয়েছে বলে জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য