স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ জুন : পাল্টা জবাব দিতে সরব হলো বিজেপি। সোমবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সুব্রত চক্রবর্তী বলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী, পবিত্র কর ও সুধন দাস সাংবাদিক সম্মেলন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। তারা সরকারকে কালিমালিপ্ত করে নিজেদের হারানো জমি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার ৭ রাম নগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী হন। এবং বিধায়ক হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু জিতেন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করেছেন দীপক মজুমদার সংবিধানের ধারা না মেনে আইন ভঙ্গ করেছেন।
এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা। তিনি মানুষকে শুধুমাত্র বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। জিতেন্দ্র চৌধুরীর বক্তব্যের কোন স্পষ্টতা নেই। জিতেন্দ্র চৌধুরী সহ সিপিআইএম নেতাদের এইদিন নির্লজ্জ বলে আখ্যা দেন সুব্রত চক্রবর্তী। তিনি বলেন লোকসভা নির্বাচনের পর জিতেন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন একটি বুথে ভোটারের চাইতে ভোট বেশি পড়েছে। কিন্তু সেই অভিযোগ পরবর্তী সময় সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এই ঘটনার পর লজ্জায় মুখ ঢাকা প্রয়োজন ছিল জিতেন্দ্র চৌধুরীদের। কিন্তু তা না করে তারা বর্তমানে নির্লজ্জের মতো সংবাদ মাধ্যমের সামনে মিথ্যা প্রচার করে যাচ্ছেন। রাজ্য সরকার ৯৬১ টি স্কুল বন্ধ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
এই অভিযোগের কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। বাস্তবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক থেকে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে একটি চিঠি এসেছে। সেই চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে ৫০ জনের কম ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে এমন কয়টি স্কুল রয়েছে রাজ্যে। ৫০ জনের কম ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে রাজ্যে এমন স্কুল রয়েছে ৫৪৯ টি। এই স্কুল গুলি থেকে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে অন্য স্কুল রয়েছে বলে জানান সুব্রত চক্রবর্তী। জিতেন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন রাজ্য সরকার সরকারি চাকুরির জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরবর্তী সময় সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে দিচ্ছে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেন সুব্রত চক্রবর্তী। রাজ্য সরকার স্বচ্ছতার সাথে চাকুরি প্রদান করছে। যাতে করে কারো চাকুরি বাতিল না হয়। এইদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সুব্রত চক্রবর্তী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি -র অন্যান্যরা।