Saturday, April 26, 2025
বাড়িরাজ্যকভার ড্রেন থেকে নির্গত আবর্জনা স্তূপ দেখে ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী

কভার ড্রেন থেকে নির্গত আবর্জনা স্তূপ দেখে ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ জুন : আগরতলা শহরের ড্রেনের আবর্জনা দেখে অবাক হলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। রবিবার আগরতলা পুর নিগমের পক্ষ থেকে প্যারাডাইস চৌমুহনী এলাকায় কভার ড্রেন পরিষ্কার করা হয়। সে সময় প্রচুর আবর্জনা কভার ড্রেন থেকে তোলা হয়। এই দৃশ্য মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসতেই তিনি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানান, আগরতলা পুর নিগম কর্তৃক বিভিন্ন ড্রেন থেকে নির্গত আবর্জনা দেখে তিনি হতবাক এবং ব্যথিত। বর্ষাকালে অল্প বৃষ্টিতে জল জমে নাগরিক জীবন ব্যাহত হওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায় যত্রতত্র ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক ও কাচের বোতল ও অন্যান্য অপচরণশীল বজ্য পদার্থ।

তাই এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকতে মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন। পাশাপাশি সকল শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক সমাজের প্রতি এই কু অভ্যাস এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে এ বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে যাওয়ার পর রীতিমতো সামাজিক মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আগরতলা পুর নিগমের কথার সাথে বাস্তবে অমিল। নিগম কর্তৃপক্ষ বলেছিল বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করা হবে। কিন্তু বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করতে গিয়ে সাফাই কর্মীদের দ্বারা চাপিয়ে দেওয়া অর্থরাশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠে নি বহু মানুষের কাছে। এখন পর্যন্ত আগরতলা পুর নিগম আগরতলা শহরের ১০০ শতাংশ বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করতে পারেনি। ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে নিগমের কাউন্সিলররা। কারণ নিগমের কাউন্সিলররা যদি এলাকা গুলিতে ঘুরে মানুষকে সঠিকভাবে সচেতন করতে এবং নিগম কর্তৃপক্ষ কঠোর মনোভাব নিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করার জন্য বাধ্য করতেন তাহলে হয়তো আগরতলা কভার ড্রেন সফলতা অর্জন হতো এবং মুখ্যমন্ত্রীও এতটা হতাশ হতেন না। আগরতলা শহরের এখনো সিংহভাগ মানুষ এতটাই অসচেতন যে বাড়িঘর থেকে আবর্জনা রাস্তার পাশে ড্রেনের মধ্যে ফেলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। যার কারনে কভার ড্রেন সফলতা অর্জন করতে পারেনি। নিগম কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা যদি ইতিমধ্যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারে তাহলে আগরতলা শহরের কভার ড্রেনের সফলতা আনতে পারবে না। স্বল্প বৃষ্টিতে হয়ে যাবে শহর জলমগ্ন। তাই এই পরিস্থিতির দিকে গুরুত্ব দিয়ে নিগমের ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি আরো একটি বিষয় রয়েছে সেটা হলো, যারা সাফাই কর্মী রয়েছেন তারা বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করতে গিয়ে পরিবার পিছু ৬০-৮০ টাকা মাসে সংগ্রহ করছে। বহু পরিবার সে টাকা দিতে ব্যর্থ। নিগম কর্তৃপক্ষের সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে যদি ১০ টাকা থেকে কুড়ি টাকা ধার্য করে দেয়, তাহলে হয়তো ১০০ শতাংশ বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করতে সফল হবে নিগম কর্তৃপক্ষ। নাহলে কভারটি দিন দিন মুখ থুবড়ে পড়বে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য