Sunday, October 27, 2024
বাড়িরাজ্যআগরতলা শিয়ালদহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির সংঘর্ষে হতাহত বহু, দুঃখ প্রকাশ করলেন...

আগরতলা শিয়ালদহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির সংঘর্ষে হতাহত বহু, দুঃখ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ জুন : আগরতলা শিয়ালদহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির সংঘর্ষ উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জেলার রাঙাপানি ও চাটারহাট স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায়। ঘটনা সোমবার সকাল পৌনে নয়টার নাগাদ। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আহত ৩০ জনের অধিক বলে জানা যায়। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়ায় আশঙ্কা রয়েছে।

কারণ এখনো বগিতে আটকে রয়েছে প্রচুর যাত্রী। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, একই লাইনে মালগাড়িটি এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস চলে আসায় এই দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে দুমড়ে মুচড়ে গেছে। দুটি বগিতে যাত্রী ছিল প্রায় দেড় শতাধিক। উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছে নিরাপত্তা কর্মী এবং স্থানীয় গ্রামবাসী। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যাত্রীদের কাছ থেকে জানা যায়, ঘটনাটি যে এলাকায় সংঘটিত হয়েছে সে এলাকার নাম রাঙাপানি তেতুলতলা রুহিদাসা জোত এলাকা।

সকাল ৭ টা ৪০ মিনিটে আগরতলা থেকে শিয়ালদা মুখী ট্রেন বিরতির পর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রওয়ানা হয়েছিল। কিন্তু নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে রাঙাপানি ও চাটারহাট স্টেশনের মাঝে এই দুর্ঘটনা। মালগাড়ির ধাক্কায় বেলাইন হয়ে যায় পিছনের দুটি কামরা। আতঙ্কে হুড়মুড়িয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন বহু যাত্রী। রেল মন্ত্রকের চরম গাফিলতির কারণে এই ঘটনা বলে মনে করছে রেল যাত্রীরা। কারণ সিগন্যাল ভুল করে দুটি রেল একই লাইনে চলে আসে বলে এখন পর্যন্ত ধারণা তাদের। তবে যারা এখনো কামরার মধ্যে আটকে রয়েছে তাদের উদ্ধার করতে দীর্ঘ দু’ঘণ্টা পর নিউ জলপাইগুড়ি থেকে এনডিআরএফ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এনডিআরএফ টিম ইতিমধ্যে হাত লাগাতে শুরু করেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে। কারণ দুর্ঘটনার পর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন মালগাড়ির উপর দিয়ে প্রায় ৩০ ফুট উঁচুতে উঠে গেছে। সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ যতটুক জানা গেছে দুটি বগি কেটে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে বিপর্যয় মোকাবিলার টিম। তারপর বাকিদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এদিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা এই ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। যারা আহত হয়েছে তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য