স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ মার্চ : পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শহর কাঁপিয়ে মহাকরণ অভিযান করল চাকুরীচুত্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সোমবার দুপুর বারোটা নাগাদ স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান থেকে চাকরীচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মিছিল শুরু হয়। কিন্তু মিছিল শুরু হওয়ার আগেই পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে চাকরীচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
তারপরও মিছিলটি শুরু হয় রাজধানী রাধানগর এলাকায় যেতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে যেতে হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা মিছিল সংঘটিত করে সার্কিট হাউজ সংলগ্ন এলাকায় যায়, কিন্তু পুলিশের ব্যারিকেডের বাধাপ্রাপ্ত হয়। চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা মিছিল এগিয়ে নিয়ে যেতে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি করে বেরিগেড ভেঙে দেয়। পুলিশ চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর লাঠিচার্জ করে। কিন্তু তারপরও মিছিল সেখানে সমাপ্ত হয় নি। অসুস্থ হয়ে পড়ে বহু শিক্ষক শিক্ষিকা। বহু শিক্ষক শিক্ষিকা পুলিশের বাধা অবজ্ঞা করে মহাকরণের মূল ফটকে গিয়ে ধর্নায় বসে। তাদের দাবি চাকুরি ফিরিয়ে দিতে হবে। আদালতের রায় ভুল ব্যাখ্যা করেছে শিক্ষা দপ্তর এবং রাজ্য সরকার। তাই অবিলম্বে তাদের স্কুলমুখী করার জন্য। এদিন তাদের মহাকরণ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বর্তমান সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার। কারণ
চাকুরিচুত্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানান এ দিন যাতে কোনরকম আইন-শৃংখলার বিঘ্নিত না হয় তার জন্য সংগঠনের পক্ষ শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করে মুখ্যমন্ত্রী সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেখা করে মূল সমস্যাটি উদঘাটন করার প্রচেষ্টা ছিল এদিন। কারণ উচ্চ আদালত থেকে যাদের জন্য জাজমেন্ট পেয়েছে তারা চাকরি করছেন, আর যারা কোনরকম নোটিশ পায়নি তারা চাকরি থেকে বিতাড়িত। সাধারন জনগন হিসেবে এখন আর আইনের প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারছে না। শীর্ষ আদালতে আরটিআই করে জানা গেছে সে মামলায় নেই বর্তমানে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এ বিষয়গুলো মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা কথা ছিল এদিন। কিন্তু দেখা গেছে বারবারই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে গুরুতর আহত হতে হয়েছে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। পুলিশের লাঠিপেটা খেতে হয়েছে এদিন। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বহু শিক্ষিকা। বিশ্বের অন্যান্য দেশে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পুজো করা হয়। কিন্তু ত্রিপুরা রাজ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এভাবে রাস্তায় লাঠিপেটা করা এবং অসুস্থ করা মর্যাদাহানি বলে মনে করেন তারা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সকলে অধিকার নিয়ে লড়াই করতে পারে। কিন্তু এদিন বারবারই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের লাঠিপেটা করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়েন শিক্ষিকারা। বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের করবে বলে তারা জানান। পরবর্তী সময়ে মহাকরণের গেইট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।