স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ মার্চ : ৪০০ জন পঞ্চায়েত একজিকিউটিভ অফিসার পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য মন্ত্রী সভায়। অর্থ দপ্তর থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরেই এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ। শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী সভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি জানান গত ২১ ডিসেম্বর পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীন থাকা ১১৭৮ টি পদ সৃষ্টির অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রীসভা। এরপর অর্থ দপ্তরে অনুমোদন চাওয়া হয়।
সমস্ত কিছু বিচার করে ৪০০ পদ পূরণের জন্য অনুমোদন দেয় বলে জানান তিনি। প্রস্তাবিত জাতীয় আইন বিশ্ব বিদ্যালয়ের জন্য ৫০ কোটি টাকার অনুমোদন রাজ্য মন্ত্রী সভায়। একই সঙ্গে গর্ভনিং বডি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ। এই প্রস্তাবিত জাতিয় আইন বিশ্ব বিদ্যালয়ের চ্যান্সেলের দায়িত্বে থাকবেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। তিনি গর্ভনিং বডির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রতিপালন করবেন। আগামী ৫ বছর পর বিশ্ব বিদ্যালয় নিজের পায়ে দাড়াতে সক্ষম হবে। এরপর জাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবে বিশ্ব বিদ্যালয়। বিশ্ব বিদ্যালয়ের গর্ভনিং বডি গঠন সহ যাবতীয় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রাজ্যে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০ স্কুলকে সি বি এস সি-তে উন্নিত করা হয়েছে। শিক্ষা বিকাশের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই প্রকল্পকে সফল ভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষা দপ্তর থেকে অর্থ দপ্তরের কাছে ২০০ জন স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগের অনুমোদন চাওয়া হয়। অর্থ দপ্তর থেকে অনুমোদন মেলার পর এদিন মন্ত্রী সভা ২০০ জন স্পেশাল এডুকেটরের পদ সৃষ্টি নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তাদের নিয়োগ করা হবে জে আর বি টি-র মাধ্যমে। প্রতিটি স্কুলে দুজন করে স্পেশাল এডুকেটরের পোস্টিং দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
মিউনিসিপ্যাল বিলে অষ্টম সংশোধনী আনা হয়েছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে পুর নিগমের ৬ টি স্ট্যান্ডিং কমিটির মধ্যে সদস্য সংখ্যা ৬ থেকে বারিয়ে ১০ করা হয়েছে। নির্বাচিত কাউন্সিলারদের থেকে এই স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য করা হবে। পুর পরিষদের ক্ষেত্রে ৭ জন থেকে বারিয়ে ৮ জন করা হয়েছে। একই রকম ভাবে নগরপঞ্চায়েতের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সংখ্যা ৫ থেকে বারিয়ে ৬ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। মোট ২০ টি পুর ও নগরের ক্ষেত্রে এই মন্ত্রীসভার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে জানান মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী।