স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ মে : উচ্চ আদালতের রায়ে হাঁসি ফুটল অবসরপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়ারী কর্মী ও সহায়িকাদের মুখে। উচ্চ আদালতের রায় অনুসারে অবসরপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকারা দি পেমেন্ট অফ গ্রেচুইটি এক্ট-১৯৭২ অনুসারে গ্রেচুইটি পাবে। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের বিচারক এস দত্ত পুরকায়স্ত এই রায় দেন।
জানা যায়, গুজরাটের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সহায়িকাদের দায়ের করা এক মামলার রায় দিতে গিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলেছিল অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা সমগ্র দেশের মধ্যে তৃনমূল স্তরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে থাকে। কিন্তু তারা বঞ্চিত। সেই মামলায় সুপ্রিমকোর্ট স্পষ্ট ভাবে বলেছিল অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকারা দি পেমেন্ট অফ গ্রেচুইটি এক্ট-১৯৭২ অনুসারে গ্রেচুইটি পাওয়ার যোগ্য। সুপ্রিমকোর্টের এই রায়ের পর ত্রিপুরা রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়ারী কর্মী ও সহায়িকারা আশা করেছিল তাদেরকেও রাজ্য সরকার দি পেমেন্ট অফ গ্রেচুইটি এক্ট-১৯৭২ অনুসারে গ্রেচুইটি প্রদান করবে।
সেই মোতাবেক অবসরপ্রাপ্ত রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা গ্রেচুইটির জন্য রাজ্য সরকারের নিকট আবেদন করেছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার এবং সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর এক ঘুয়েমি মনোভাব প্রদর্শন করে। অবসরপ্রাপ্ত রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের জানিয়ে দেওয়া হয় কোন ভাবেই তারা গ্রেচুইটি পাবে না। তাই বঞ্ছিত ২০ জন অঙ্গনওয়ারী কর্মী ও সহায়িকা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে ২০২৩ সালে। মামলাকারীদের পক্ষে উচ্চ আদালতে সাওয়াল করেন সিনিয়র আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মণ। এক সপ্তাহ পূর্বে উচ্চ আদালতের বিচারক এস দত্ত পুরকায়স্তর এজলাসে মামলার শুনানি শেষ হয়। বৃহস্পতিবার বিচারক এই মামলার রায় প্রদান করেন।
উচ্চ আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়ারী কর্মী ও সহায়িকাদের সুদ সহ দি পেমেন্ট অফ গ্রেচুইটি এক্ট-১৯৭২ অনুসারে গ্রেচুইটি প্রদান করতে হবে। সিনিয়র আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মণ জানান উচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে শুধুমাত্র মামলাকারী ২০ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা উপকৃত হবে এমনটা নয়, এই রায়ের ফলে রাজ্যের ১০ হাজার অঙ্গনওয়ারী কর্মী ও সহায়িকা উপকৃত হবে। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে রাজ্যের অঙ্গনওয়ারী কর্মী ও সহায়িকাদের মুখে হাঁসি ফুটেছে। তবে এই রায়ের ফলে ফের একবার উচ্চ আদালতে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়ল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।