Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যরাজ্যজুড়ে পেট্রোল সঙ্কট চরম আকার ধারন করেছে

রাজ্যজুড়ে পেট্রোল সঙ্কট চরম আকার ধারন করেছে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ মে : গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যজুড়ে পেট্রোল সঙ্কট চরম আকার ধারন করেছে। সিংহভাগ পেট্রোল পাম্পে নেই পেট্রোল। আর যেসব পেট্রোল পাম্পের পেট্রোল আছে সেগুলির মধ্যে প্রায় কয়েক শতাধিক যানচালক দাঁড়িয়ে আছে পেট্রোল নেওয়ার জন্য। হাতে গোনা কয়েকটি পাম্পে পেট্রোল দেওয়া হলেও পাম্প গুলিতে যান চালক ও বাইক চালকদের দীর্ঘ লাইন। রাজধানীর পেট্রোল পাম্প গুলিতেও একই অবস্থা।

 সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পেট্রোলের জন্য লাইনে দাড়িয়েও মিলছে না পেট্রোল। এক বাইক চালক সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটা জানান। তিনি আরও জানান এই ভাবে চলতে পারে না।এক পেট্রোল পাম্পের মালিক স্পষ্ট জানান কবে পেট্রোল সঙ্কট স্বাভাবিক হবে বলা সম্ভব নয়। রেলের লামডিং ডিভিশনে ট্র্যাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সারাই করা হয়েছে। ইতিমধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনো মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয় নি। মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেট্রোল সঙ্কট স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান কবে মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে তা একমাত্র সরকার ও রেল দপ্তর বলতে পারবে। পেট্রোল সঙ্কটের বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান মালবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রীর নিকট চিঠি প্রেরন করা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য বর্তমানে সকলে ব্যস্ত। তাই সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। আধিকারিকরা যোগাযোগ রেখে চলছে।

তবে যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। পেট্রোল সঙ্কটের আগাম আভাস পেয়ে খাদ্য দপ্তর আগে থেকে লোক দেখানো রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছে। এই লোক দেখানো অযৌক্তিক রেশনিং ব্যবস্থা সাধারন মানুষের দুর্ভোগ আরও কয়েক গুন বৃদ্ধি করে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার উপর পেট্রোলের কালোবাজারি রুখতে ব্যর্থ প্রশাসন। খোলা বাজারে এক লিটার পেট্রোল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে বর্তমানে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে পেট্রোলের কালোবাজারি না হয়ে থাকলে খোলা বাজারে কোথা থেকে আসছে এই পেট্রোল। উত্তরটা হয়তো প্রশাসনিক আধিকারিকরা ভালো দিতে পারবেন। উল্লেখ্য, আসামের সোনারপুরে প্রবল বৃষ্টির জন্য রেল লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিঘ্নিত হয়েছে রেল পরিষেবা। রাজ্যে অধিকাংশ পেট্রোল সহ অন্যান্য জ্বালানি তেল আসে পণ্যবাহী রেল দিয়ে। কারণ রেলের মাধ্যমে জ্বালানি তেল রাজ্যে আসলে আর্থিক ব্যয়ভার সহ সময়ও কম লাগে। কিন্তু রেল পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। মালবাহী ট্রেন রাজ্যে আসতে পারছে না। ফলে রাজ্য জ্বালানি সঙ্কট তীব্র আকার ধারন করে। বিশেষ করে পেট্রোল সঙ্কট সমগ্র রাজ্য জুরে তীব্র আকার ধারন করেছে। রাজ্যের অধিকাংশ পেট্রোল পাম্পে নেই পেট্রোল।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য