Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যনেশা মুক্তি কেন্দ্রে গিয়ে আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এক যুবক

নেশা মুক্তি কেন্দ্রে গিয়ে আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এক যুবক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ মে : ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা নেশা মুক্তি কেন্দ্রে গিয়ে প্রতিবছর বলি হচ্ছে বহু তরতাজা যুবক। অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অর্থ আদায় করে যম দুয়ারে ঠেলে দিচ্ছে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে যাওয়া যুবকদের। এবার এমনই এক ঘটনার অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর নতুন নগর স্থিত লাইফ কিউর ফাউন্ডেশন নামে এক নেশা মুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এই নেশা মুক্তি কেন্দ্রের মালিকের নাম রাজু।

বাড়ি চান্দিনামুড়া এলাকায়। অভিযুক্ত রাজু নেশাগ্রস্ত যুবকদের অভিভাবকদের ফুসলিয়ে নিজ নেশা মুক্তি কেন্দ্রে নিয়ে সুস্থতার নাম করে আরো বেশি মৃত্যুমুখে পতিত করছে কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ। রাজধানীর বনমালীপুর এলাকার মানসিক ভারসাম্যহীন প্রীতম শীল নামে ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের মাকে সাত পাঁচ বুঝিয়ে রাজু নামে অভিযুক্ত মালিক নিজ নেশা মুক্তি কেন্দ্রে নিয়ে যায়। গত পাঁচ মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা অভিভাবকের কাছ থেকে নিয়ে সর্বশান্ত করার সুযোগ খুঁজেছে কর্তৃপক্ষ। গত কয়েকদিন আগে প্রীতমের মাকে ফোন করে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের কর্মীরা জানান প্রীতম সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে নেশা মুক্ত কেন্দ্রের মধ্যে কাজ করানো হবে।

এই প্রস্তাবে রাজি ছিল না প্রীতমের মা। তারপর নেশা মুক্তি কেন্দ্রের সকলে মিলে প্রীতমকে বেধড়ক মারধর করে গত ২২ এপ্রিল তার বোনের বাড়িতে এনে দিয়ে যায়। তারপর প্রীতমের মা দেখতে পায় প্রীতমের সারা শরীরে আঘাতে চিহ্ন। এবং গোপনাঙ্গে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত প্রীতম। তারপর গত ৩০ এপ্রিল এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন প্রিতমের মা। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তদের জালে তোলার কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এদিকে প্রীতমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার তাকে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসক সিটিস্ক্যান এবং রক্তের ব্যবস্থা করার জন্য বলে প্রীতমের মাকে। কিন্তু দিশেহারা প্রীতমের মা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি প্রদান এবং ছেলের চিকিৎসার সহযোগিতার দাবি করলেন। এভাবে আরো অভিযোগ গত কয়েক মাসে বিভিন্ন নেশা মুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত সেগুলির মধ্যে কি ধরনের নৈরাজ্য চলছে সেটা যাতে করার একবারও প্রয়োজন মনে করেনি। এই মানুষ মারার কেন্দ্রে গিয়ে আর কত মার বুক খালি হলে প্রশাসন সঠিক দায়িত্ব পালন করবে তা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে?

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য