Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যমিড ডে মিলের চাল চুরি করে বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পরল...

মিড ডে মিলের চাল চুরি করে বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পরল দুই শিক্ষক, পলাতক এক শিক্ষক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ মে : যাদের হাতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ তারাই এখন মহা চোর। এমনটাই অভিযোগ উঠল শনিবার মোহনপুর মহকুমা হরেন্দ্র নগর স্কুলের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের নাম রূপক দাস, সঞ্জিত এবং স্কুল ইনচার্জ রবীন্দ্র সরকার। তিন শিক্ষকের মধ্যে দুই শিক্ষক জনতার হাতে ধরা খেয়ে থানায় গেলেন। অপর এক শিক্ষক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, স্কুলে তিন মাস অন্তর অন্তর মিড ডে মিলে চাল ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রদান করা হয়। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা গিয়ে রেশন থেকে নিয়ে আসে।

 কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিলের চাল গিলে খাচ্ছে স্কুলের মহারথী তিন শিক্ষক। স্কুলে যে চাল বিলি করা হয় সেই চালের ৫০ শতাংশ তিন মহারথী শিক্ষক বিক্রি করে ফেলে বাজারে। এবং মোটা অংক পকেট ভরে নিয়ে যায় বাড়িতে। দীর্ঘদিন ধরেই বিষয়টি নজরে আসছিল মোহনপুর বাসীর। অবশেষে শনিবার দিন দুই মুখোশধারী শিক্ষককে আটক করে এলাকাবাসী বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ি হাতে তুলে দেয়। যাদের এদিন এলাকাবাসী আটক করতে সক্ষম হয়েছে তারা হলেন রুপক দাস এবং রবীন্দ্র সরকার। রূপক দাস নামে অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য তারা মিড ডে মিলের চাল গুলি রেশন থেকে বাজারে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারনে তারা চালগুলি দোকানে নিয়ে আসে। অপরদিকে স্কুল ইনচার্জ রবীন্দ্র সরকার এই ঘটনার পর সুষ্পষ্ট ভাবে কোন কিছুই বলতে পারছিলেন না। এদিকে দোকানের কর্ণধারের বক্তব্য তিনি ২৮ টাকা কেজি দরে চালগুলি ক্রয় করেছে। উনার ধারনা চাল গুলি স্কুল থেকে গার্ডকে দিয়ে নিয়ে এসেছে দোকানে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিকভাবে স্কুলে মিড ডে মিলের খাবারের বন্দোবস্ত না করে দীর্ঘদিন ধরে এভাবে সরকারি সম্পদ বিক্রি করে মোটা কামাইয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন তিন অভিযুক্ত শিক্ষক।

 কারণ সরকারি মোটা অংকের বেতন তাদের পোষায় না। তাদের সাথে জড়িত থাকতে পারে স্কুলের আরো বেশ কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ইনচার্জ রবীন্দ্র সরকার গত জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব পেয়ে এ ধরনের কাণ্ডকারখানা স্কুলে ঘটাবে সেটা হয়তো জানত না অনেকে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে আটক করতে পারলেও পালিয়ে গেছেন সঞ্জিত নামে অপর এক শিক্ষক। স্থানীয়রা দুই শিক্ষককে গালিগালাজ করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। যারা সমাজের সঠিক দিশা দেখানোর দায়িত্বের রয়েছেন তারা এ ধরনের ঘটনায় লিপ্ত হয়ে পড়ায় এলাকায় ছিঃ ছিঃ রব উঠতে শুরু করেছে। কারণ শিক্ষক সমাজের মেরুদন্ড। আর এমন কতিপয় শিক্ষা যে সমাজের মেরুদন্ড ভেঙে দেয় তা আবারো প্রমাণ করে দিয়েছে। আর তারা আগামী দিনে কি ভবিষ্যৎ নির্ণয় করবে ছাত্র-ছাত্রীদের সেটা প্রশ্নের মুখে রয়ে গেছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য