Saturday, February 15, 2025
বাড়িরাজ্যমঙ্গলবার আস্তাবল ময়দানের জমায়েত ফ্লপ বললেন সুদীপ

মঙ্গলবার আস্তাবল ময়দানের জমায়েত ফ্লপ বললেন সুদীপ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ মার্চ : ত্রিপুরার রাজনৈতিক ইতিহাসে শাসক দল দ্বারা সবচেয়ে ফ্লপ কোন জমায়েত যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটা হল সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার আস্তাবল ময়দানের জমায়েত। জমায়েতে ৮-৯ হাজারের অধিক মানুষ হয়নি। যা দেখা গেছে মাঠ খালি এবং বসার আসন পূরণ হয়নি। এটা সুপার ফ্লপ জমায়েত। কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি যে ২৯৯ টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার একটি প্রতিশ্রুতিও পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়েছে তার প্রমাণ করতে পারছে না।

 মঙ্গলবার আস্তাবল ময়দানের জমায়েত স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি সরকারে মতো অশুভ শক্তিকে মানুষ আর সহ্য করতে পারছে না। বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বললেন সুদীপ রায় বর্মন। বিজেপি’র ধান্দাবাজি আর পাচারকারী হয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর লুটে পুটে খেয়ে তাদের হয়নি, আবার লুটেপুটে যাতে খেতে পারে তার জন্য সুযোগ চাইছে। রাজ্যে প্রতিদিন হামলা হুজ্জুতি হচ্ছে। মানুষের বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর হচ্ছে। লুটপাট হচ্ছে, জোর করে টাকা আদায় করছে বিজেপি। রিপোর্ট বের হচ্ছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নাকি স্বাভাবিক আছে। তাই মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমাবেশ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।

এখন নির্বাচন এসেছে তাই অনেক প্রতিশ্রুতি তারা দেবে। যার মধ্যে কোন অর্থ দপ্তরের অনুমোদন থাকবে না বলে জানান তিনি। এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে এসে সমাবেশে করোনা টিকা নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি করোনায় মৃত পরিবারদের মধ্যে কতজন ১০ লক্ষ টাকা করে পেয়েছে ? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ৩৩ শতাংশ সংরক্ষন মহিলাদের চাকরিতে জন্য চালু করার। গত চার বছরে বহু কর্মী সরকারি দপ্তর থেকে অবসরে গেছে। তাদের শূন্যপদ গুলি এক বছরের মধ্যে পূরণ না হওয়ায় অনেক শূন্যপদ এবুলিশ হয়ে গেছে। তাই এখন মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছেন বিজেপি। কিন্তু ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ তাদের বুঝে গেছে। বোকা বানাতে চাইলে মানুষ আর তাদের কোন মনে করবে না বলে জানান সুদীপ রায় বর্মন। তাই এই জুমলাবাজদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যে প্রকল্প গুলির কথা ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার বলে থাকে, সেই প্রকল্পগুলি কংগ্রেসের আমলে তৈরি করা হয়েছে। ইন্দিরা আবাসন যোজনা নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। রাজীব গান্ধী গ্রামীণ বিদ্যুতিকরণ যোজনার নাম পরিবর্তন করে রেখেছে দীনদয়াল উপাধ্যায় যোজনা। মানুষের ভাবাবেগ এবং আবেগকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছে। এবং মানুষের দৈনন্দিন বিষয় নিয়ে সাম্প্রদায়িক সমস্যা সৃষ্টি করেছে। তাই এর তীব্র নিন্দা জানান সুদীপ রায় বর্মন। এদিন আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনের পর ২৭ জন ভোটার বিভিন্ন দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছে। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে চলে স্বাগত জানান  সুদীপ রায় বর্মন, আশীষ কুমার সাহা, গোপাল রায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য