স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ এপ্রিল : পরীক্ষা কেন্দ্র রাজ্যের বাইরে হওয়ায় সম্প্রতি প্রতিবাদের সরব হয়েছিল যুব কংগ্রেস। কিন্তু ত্রিপুরা স্টেট কো- অপারেটিভ ব্যাংক রাজ্যের যুবক যুবতীদের স্বার্থে আগরতলা শহরে সেন্টার নির্ধারণ করার যথেষ্ট চেষ্টা করেছে। সে বিষয়ে অবশেষে ষ্পষ্টিকরণ দিলেন ত্রিপুরা কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ভজন চন্দ্র রায়।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বিভিন্ন শ্রেণীর ১৫৬ জন কর্মী নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। এই পদগুলির জন্য মোট যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা ১৯.৬৬৪ জন। অনলাইন পরীক্ষার জন্য প্রথম পছন্দের স্থান আগরতলা নির্ধারিত ছিল, কিন্তু ত্রিপুরায় অনলাইন পরীক্ষার ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৫৬০ জন প্রতি শিফটে। ব্যাঙ্ক এবং আইবিপিএস আগরতলায় সমস্ত মহিলা এবং দিব্যাঙ্গন ব্যক্তিদের বরাদ্দ করার চেষ্টা করেছে।
এই অনুসারে ক্লার্ক, মাল্টি টাস্কিং স্টাফ এবং অফিসারের জন্য অনলাইন পরীক্ষা যথাক্রমে গত ৩ মে এবং ৪ মে অনুষ্ঠিত করার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। আগরতলায় প্রথম দিনে ৫ টি কেন্দ্রে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে ৬ টি কেন্দ্রে অনলাইন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু অনলাইন পরীক্ষা কেন্দ্র ও আসন ছিল না। এবং বিপুল সংখ্যক আবেদনকারীর জন্য আইবিপিএস আগরতলায় সব আবেদনকারীদের আসন দিতে পারেনি। তাই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির অধীনে ধারা অনুযায়ী আইবিপিএস বেশ কিছু প্রার্থীকে প্রতিবেশী রাজ্য অসমের শিলচর, গুয়াহাটি, জোরহাট, ডিব্রুগড় ও তেজপুর প্রভৃতি স্থানে পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা। তিনি আরো জানান, আইবিপিএস এবং ত্রিপুরা স্টেট কোঅপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড গত ৪-৫ মাস ধরে সকল আবেদনকারীদের আগরতলায় আসন দিতে চেষ্টা করেছে। শেষ পর্যন্ত বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিবেশী রাজ্য আসামকে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। অনলাইন পরীক্ষা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য বহির্রাজ্যে পরীক্ষার কেন্দ্র হওয়ার প্রতিবাদে গত ২০ এপ্রিল সরব হয়েছিল যুব কংগ্রেস। তারপর এই বিষয়ে ষ্পষ্টিকরণ দেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর।