Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যরাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন বিজেপি সরকারের প্রধান লক্ষ্য: সুশান্ত

রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন বিজেপি সরকারের প্রধান লক্ষ্য: সুশান্ত

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ এপ্রিল : গত দশ বছরে এরাজ্যকে জাতীয় মানিচিত্রে অন্যমাত্রায় পৌছে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  ত্রিপুরার মত ছোট রাজ্যকে স্বাধীনতার ৬০ পর্যন্ত পিছিয়ে রাখা হয়েছে। তার কারন কংগ্রেস আর কমিউনিস্ট এর দিল্লীতে দোস্তি ত্রিপুরায় কুস্তি নিতি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই সেই ব্যাক্তি যিনি সবকা সাথ সবকা বিকাশের স্লোগান তুলেছেন এবং শুধু স্লোগান নয় তিনি তা কার্যকর করে দেখিয়েছেন।কেন্দ্রের মোদী সরকারের নির্দেশিত দিশাতেই এরাজ্য সরকারও কাজ করে যাচ্ছে।

রাজ্যের জনগণের সার্বিক  কল্যাণই ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। মানুষের উন্নয়নকে ব্যাপক অগ্রাধিকার দিয়ে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মানুষের মোদি সরকারের প্রতি আস্থা রয়েছে। আর সেই আস্থা থেকে আসন্ন নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীরা রাজ্যের দুটি আসনেই বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয় হাসিল করবেন। মানুষের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ তাদের জয়ী করবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা আসনের বিজেপি প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার  সমর্থনে মঙ্গলবার অম্পিনগর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অম্পিনগর গার্লস স্কুল ময়দানে  আয়োজিত সুবিশাল নির্বাচনি জনসভায়  অংশগ্রহণ করে একথা বলেন রাজ্যের পরিবহন, পর্যটন তথা খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

তিনি বলেন, পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবেন। উন্নয়নমূলক কাজের নিরিখে মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির পাশে রয়েছে এবং আগামীতেও থাকবে। আসন্ন নির্বাচনে সবাই একত্রিতভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য জনগণের কাছ থেকে আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য কাজ করছেন। ২০৪৭ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণের জন্য এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। বিজেপি সবসময়ই নির্বাচনকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেয়।

আমরা আমাদের বিজয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। প্রধানমন্ত্রী মোদি মানেই গ্যারান্টি কারণ তিনি সবসময় বিকাশের জন্য কাজ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি সর্বদা মানুষের জন্য কাজ করেন। তিনি আরোও বলেন, ২০১৪ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কংগ্রেস আমলের একাধিক দুর্নীতির কবল থেকে ভারত বেরিয়ে এসেছে। সিপিআইএম এবং কংগ্রেস তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই ইন্ডি জোট গঠন করেছে। এই ইন্ডি জোট শীঘ্রই ভেঙে পড়বে। তাদের নিজেদের মধ্যেই বোঝাপড়া নেই। তিনি আরো বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের শাসনামলে কীভাবে হিংসার বাতাবরণ ছিলো। তারা এখন একত্রিত হয়েছে। তারা সিপিআইএম-কংগ্রেস জোট বলতে লজ্জা বোধ করেন। তারা জনগণকে বোকা বানাচ্ছে। সিপিআইএম-এর বিরোধিতা করায় বহু লোককে হত্যা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এবং ত্রিপুরায় যারা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে, সিপিআইএমের লোকেরা তাদের মেরেছে।

শুধু তাই নয়, দুই দলেরই বিধায়ক, মন্ত্রীসহ অনেক লোককেই তারা খুন করেছে, এখন তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে এবং তাদের ৩৫ বছরের শাসনে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে ।  মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, যেকোন রাজ্য বা দেশের উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন সর্বত্র শান্তির পরিবেশ বিরাজ করবে। ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর গ্রাম-পাহাড়ে আইন শৃঙ্খলার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। এখন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর কোন রাজনৈতিক খুনের ঘটনা ঘটে না। এখন মন্ত্রী বিধায়করা খুন হন না। অথচ এর আগে আমরা দেখেছি যে কীভাবে একটি অংশ রাজ্যের শান্তি বিনষ্ট করার জন্য কাজ করেছে। মানুষ এটা চায় না, তারা চায় শান্তিতে বসবাস করতে। ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বামেদের তীব্র সমালোচনা করে বলেন বর্তমান সময়ে রাজ্যের চলমান উন্নয়নমূলক জনহিতকর কাজ বামপন্থী ও তাদের সহযোগী কংগ্রেসীদের একদমই সহ্য হচ্ছে না। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধে এদের ভরাডুবির পর এরা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এরা এখন বলে বেড়াচ্ছে রাজ্যে নাকি গনতন্ত্র নেই। অথচ বামেদের  শাসনকালে গ্রামাঞ্চলে সিপিআইএম দলের ক্যাডারদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা লোপ পেয়েছিলো। সিপিআই(এম) পার্টির আশ্রয়ে সর্বব্যাপী দুর্নীতি ও অপরাধচক্র জাঁকিয়ে বসেছিলো। সিপিআই(এম) ক্যাডারদের তোলাবাজির ভয়ে ত্রিপুরায় বহিঃরাজ্য থেকে এখানে কেউ বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাতেন না। রাজ্যের সাধারণ মানুষের পিছিয়ে পড়ার মূল কারণ ছিলো বামফ্রন্ট  সরকারের দেউলিয়াপনা।

 এক অকর্মণ্য প্রশাসন যন্ত্র বামফ্রন্ট সরকার বানিয়ে রেখেছিলো নিজেদের ক্যাডরদের কাজ পাইয়ে দেবার জন্য।  দীর্ঘ বাম শাসনে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ দশা ছিলো। রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে দুর্নীতি ও অপরাধচক্র ত্রিপুরায় বীভৎস আকার ধারণ করেছিলো।  জালিয়াতরা সবাই সিপিএম-এর নেতাদের  আশ্রয়ে থেকে বজ্জাতি করে গেছে। সিপিএম ভালো করেই জানতো, ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে শুধু জনসমর্থনের জোরে তারা তা পারবে না, অতএব অন্য উপায়ের আশ্রয় নিতে হবে। সেই উপায় সিপিএম-এর কাছে ছিল প্রচণ্ড দমননীতি, বিশেষত গ্রামাঞ্চলে এবং নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে প্রয়োজনে  খুন, ধর্ষণ ইত্যাদি করানো হতো। খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন এগুলি ওরা আগাম বলে বলে করতো। সিপিআই(এম) হচ্ছে পুরোপুরি এক অরাজক পাটি। এরা তাদের দু’দফায় ৩৫  বছর পৈশাচিক ভাবে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়ে গিয়েছে। এদের শাসনে নারীদের সম্মান ছিলো না। নারীদের খুন করে বীভৎসভাবে হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে এই রাজ্যে। সবচেয়ে দুঃখ জনক ঘটনা হচ্ছে, এই ধর্ষণের ঘটনাগুলির যাতে যথাযথ তদন্ত না হয় তার জন্য তাদের দলের উপরের স্তরের নেতাদের  থেকে পর্যন্ত নানারকম ইঙ্গিত দেওয়া হতো। সাধারণ  তুচ্ছ ঘটনা বলে এড়িয়ে যাওয়া হতো ধর্ষণ আর খুনের মতো ঘটনাকে। আজকে তার প্রদত্ত ভাষণে বামেদের বিরুদ্ধে খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি

আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য হচ্ছে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের সার্বিক উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী মোদি মানেই উন্নয়নের গ্যারান্টি। তিনি বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার সূচনা করেছেন। যাতে সকল অংশের মানুষ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জনমুখী প্রকল্প থেকে উপকৃত হতে পারেন। একইভাবে রাজ্য সরকারও মানুষের মৌলিক অধিকার পৌঁছে দিতে ‘প্রতি ঘরে সুশাসন’ অভিযান চালু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির কারণে ত্রিপুরা সহ অন্যান্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এবার বিজেপি প্রার্থীদের রেকর্ড থেকে রেকর্ড ভোটে জয়ী করার জন্য আমাদের দলের কার্যকর্তারা সজাগ আছে। তিনি সকলকে ভোট দান পর্যন্ত সজাগ ও সতর্ক থাকতেও বলেন।মন্ত্রী বলেন আমরা যদি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই তবে আমাদের অবশ্যই বিজেপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে হবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য