Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যমানুষের সামনে চেহারা দেখাতে লজ্জা হওয়া উচিত মানিক সরকার ও জিতেন্দ্র চৌধুরীর...

মানুষের সামনে চেহারা দেখাতে লজ্জা হওয়া উচিত মানিক সরকার ও জিতেন্দ্র চৌধুরীর : বিপ্লব

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ এপ্রিল : ধিক্কার মানিক সরকার, ধিক্কার জিতেন্দ্র চৌধুরী! কারণ আপনারা গতকাল কংগ্রেস প্রার্থী আশীষ কুমার সাহাকে ভোট দিয়েছেন। মানুষের সামনে চেহারা দেখাতে লজ্জা হওয়া উচিত। এবং এটা মানিক সরকারেরও দুর্ভাগ্য শেষ বয়সে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া।

শনিবার পূর্ব ত্রিপুরা আসনের মনোনীত বিজেপি প্রার্থী কীর্তি সিং দেববর্মার সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় এই কথা বলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এদিন ধর্মনগর মহকুমার বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের জয়নগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এক নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়। নির্বাচনী সভায় বিপ্লব কুমার দেব বলেন যে মানিক সরকার আপনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে জিতেন্দ্র চৌধুরীকে আদা কেলেঙ্কারি জন্য মন্ত্রিসভা থেকে বের করেছিলেন, সেই জিতেন্দ্র চৌধুরী আপনাকে শেষ বয়সে বেজ্জত করেছে।

 এটা মানিক সরকারের প্রতি হিংসায় দলিল নিয়েছে জিতেন্দ্র চৌধুরী। আরো বলেন, বর্তমানে এই কমিউনিস্টদের কাঁধের ব্যাগ থেকে বের হচ্ছে কংগ্রেসের আশীষ কুমার সাহা। ত্রিপুরার মানুষ যদি জানত আপনাদের ব্যাগে আশীষ কুমার সাহা আছে, বর্মন পরিবার আছে এবং রোজভ্যালি আছে তাহলে কোনদিনও ত্রিপুরার মানুষ কখনো নৃপন চক্রবর্তীকে মুখ্যমন্ত্রী বানাত না। ত্রিপুরার মানুষ জানতো না আপনারা ব্যাগে কি নিয়ে চলছেন। বিপ্লব কুমার দেব আরো বলেন, রাজ্যে আশির দাঙ্গা এবং এন.এল.এফ.টি কমিউনিস্ট ও কংগ্রেস দ্বারা সৃষ্টি হয়েছিল।

 প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং কমিউনিস্টদের সমালোচনা করে বিপ্লব কুমার দেব আরো বলেন, তাদের এতটাই অহংকার যে তারা দলের বাইরে কিছু ভাবতে পারেনি। সেই দাম্ভিক কমিউনিস্ট ২০১৭ সালেও বলতো আরও একশ বছর নাকি কমিউনিস্টরা ত্রিপুরায় থাকবে। কিন্তু ২০১৮ সালে নির্বাচনে এই কমিউনিস্টের কোমড় ভেঙে দিয়েছে ত্রিপুরার মানুষ। এখন এই কমিউনিস্ট এবং কংগ্রেস এক জায়গায় আছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনী সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ, পানিসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস, উত্তর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, উত্তর জেলা বিজেপি দলের সভাপতি কাজল দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য