Monday, February 17, 2025
বাড়িরাজ্যপাথর চাপা হয়ে শাসন ব্যবস্থায় বসে থাকা সরকারকে সরাতে না পারলে মানুষকে...

পাথর চাপা হয়ে শাসন ব্যবস্থায় বসে থাকা সরকারকে সরাতে না পারলে মানুষকে রক্ষা করা যাবে না : মানিক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ এপ্রিল : চিহ্ন নিয়ে এখন তর্ক বিতর্ক শুরু করেছে বিজেপি। সিপিএম কখনো হাত চিহ্নে ভোট দেয় নি! আবার কংগ্রেসও কাঁস্তে হাতুড়ি চিহ্নে ভোট দেয়নি! কিন্তু কংগ্রেস এবং সিপিআইএমকে এ পরিস্থিতিতে নিয়ে এসেছে বিজেপি।

তাদের জনবিরোধী ভূমিকার জন্য আজ এক মঞ্চে আসতে হয়েছে দুই দলকে। তাই এগুলো নিয়ে তর্ক করার কোন সুযোগ নেই। শনিবার গন্ডাছড়ায় ইন্ডিয়া জোটের মনোনীত প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াং -এর সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রেখে এভাবেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার। তিনি বলেন, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রতিহত করার জন্য এবং শোষণ করে নিগড়ে নেওয়ার জন্য যে কায়দা অবলম্বন করেছিল, সে কায়দা শিখে নিয়ে এই সর্বনাশা পদ্ধতি বিজেপি সরকার দেশে এবং ত্রিপুরা রাজ্য প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে।

কিন্তু ধর্মের কথা বললে পেটের ক্ষুধা নিভৃত হবে না, সম্প্রদায়ের কথা বললে লজ্জার কাপড় আসবে না এবং অসুস্থ হলে ওষুধ পাওয়া যাবে না। তাই নির্বাচনে চেষ্টা জাত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ইন্ডিয়া জোট। সেই আন্দোলনকে দমন করবার জন্য বিজেপি সরকার দেশের সংবিধানকে ফ্যাসিস্ট সুলভ ও স্বৈরাচারী কায়দায় জনগণের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। তাই কমিউনিস্টরা বারবার বলার চেষ্টা করছে এই সরকার জনবিরোধী, দুশমন, শোষকদের স্বার্থের প্রতিনিধি। তাই ভুল করে বিভ্রান্ত হয়ে তাদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহবান করা হচ্ছে। এর জন্যই যার যার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপি -র বিরুদ্ধে লড়াই করলে চলবে না। তাই একটি জায়গায় সম্মিলিত হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। পাথর চাপা হয়ে দেশের শাসন ক্ষমতায় বসে থাকা এই বিজেপি সরকারকে উৎখ্যাত করে বিকল্প জনদরদী ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠন করেতে হবে এই নির্বাচনে। আর এটা না করা গেলে দেশের মানুষকে রক্ষা করা যাবে না বলে জানান তিনি। হাসপাতাল গুলিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নেই। রোগীদের জীবন দায়ী ওষুধ মিলছে না।

লাফিয়ে বাড়ছে জিনিসপত্র মূল্য। এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী একমাত্র কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কারণ মাটির উপর দেশের যে সম্পদ রয়েছে তা পুঁজিপতিদের সাথে উজার করে দিচ্ছে সরকার। প্রশ্ন তাদের জন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম? এর জন্য বিট্রিশের বিরুদ্ধে দেশবাসীর ১৯০ বছরের লড়াই? আর এর বিরুদ্ধে মানুষ যাতে ঐক্যবদ্ধ না হতে পারে তার জন্য আর.এস.এস, বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মানুষকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। তাই নির্বাচন সিপিআইএম কংগ্রেসের স্বার্থে নয়, দেশের ১৪০ কোটি মানুষের স্বার্থে। আর ইন্ডিয়া জোট এটা আহ্বান করার পর নরেন্দ্র মোদী রাতের ঘুম চড়ে গেছে। যার কারণে আগরতলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছিল না। প্রতারক হয়ে এখন মানুষের আস্থা ফিরে পাচ্ছেন না তিনি। এদিন নির্বাচনী সভা শুরু হওয়ার আগে একটি মিছিল সংগঠিত হয়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য