স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ মার্চ : কাগজে-কলমে সমাজ পরিবর্তন হয় না, সোসাইটিরও পরিবর্তন হয় না। পরিদর্শনে যেতে হয়। তাহলে বুঝা যায় সরকারের পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে। একটি এনজিও -র চতুর্থ প্রতিষ্ঠা দিবস বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সরকার বিভিন্ন প্রকল্প চালু করে রেখেছে। আগে এগুলি ত্রিপুরাতে ছিল না। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে প্রকল্পগুলি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। নিষিদ্ধ ড্রাগস ও নেশা দ্রব্যের অশুভ সংস্পর্শ কেবলমাত্র ব্যক্তিকেই নয়, একটি পরিবারকে ধ্বংসের পথে ধাবিত হয়।
যুব সম্প্রদায়কে শিরাপথে নেশা গ্রহণ থেকে বিরত রাখার মধ্যে দিয়ে এইচ আই ভি ও মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে মুক্ত রাখতে মায়েদের সজাগ দৃষ্টি থাকা আবশ্যক। আগরতলা ও উত্তর জেলায় নেশামুক্তি কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিগত দিনের ন্যায় ড্রাগস বাণিজ্যেকে মদত জুগিয়ে কমিশন আদায়ের অভিসন্ধি নিয়ে নব প্রজন্মের ভবিষ্যতকে নিশ্চিত আঁধারের পথে নিমজ্জিত করার আগ্রাসী মানসিকতার উর্দ্ধে উঠে কাজ করছে সরকার। বর্তমানে যুব সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধশালী ও সুনিশ্চিত ভবিষ্যত নির্মাণের লক্ষ্যে সরকার সংকল্প বদ্ধ বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক দৃষ্টি ও রাজ্য সরকারের সদর্থক পদক্ষেপের ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রের পাশাপাশি জনজাতিদের আর্থ সামাজিক জীবনমান বিকাশে গতি এসেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে গৃহীত পরিকল্পনার সুফল সুনিশ্চিতিকরণে এন জি ও গুলির কার্যধারায় আরও গতি সঞ্চার করা প্রয়োজন। ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি রাজ্যের ঐতিহ্য, পরম্পরা, পর্যটন কেন্দ্র সহ তথ্য সমৃদ্ধির প্রবাহমান লক্ষ্যে সম্ভাবনাময় কেন্দ্রগুলিতে শিক্ষামূলক ভ্রমন অন্যতম। ক্ষীণ স্বার্থে জনজাতি অধ্যুষিত এলাকার সার্বিক বিকাশে পূর্বতনদের অনীহার ফলে, উন্নয়নের প্রশ্নে উপেক্ষিত ক্ষেত্রগুলিতে সার্বিক বিকাশের সব বিকেন্দ্রীকরনে এসেছে গতি। অত্যাধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা, অবকাঠামোগত বিকাশ, একলব্য বিদ্যালয়, ইউপিএসসি প্রবেশিকায় অংশগ্রহণের উপযোগী প্রশিক্ষনে প্রাপ্ত সাফল্য, সিবিএসই শিক্ষা গ্রহণ, পরিশ্রুত পানীয় সহ সমস্ত ক্ষেত্রেই সফল বাস্তনায়ন হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বিশ্বে অন্যান্য উন্নত দেশে দেখা যায় চিকিৎসক বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষ এন জি ও সাথে যুক্ত হয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কারণ তাদের লক্ষ্য একটাই মানুষকে উন্নত চিন্তা ধারা দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সুতরাং মানুষ এনজিও কাজে সেসব দেশে উৎসাহের সাথে এগিয়ে আসে বলে জানান মন্ত্রী মেভার কুমার জমাতিয়া। বর্তমান সরকার গুণগত শিক্ষার জন্য ১৮ টি এক লব্য স্কুল খুলেছেন মাত্র তিন বছরে। কিন্তু পূবর্তন সরকার দীর্ঘসময় শাসনকালে থেকে মাত্র চারটি এক লব্য স্কুল খুলেছে। সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের গুণগত শিক্ষার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি। এদিন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।