স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ এপ্রিল : ভোটের নামে প্রহসন চলছে। সকাল বেলা আটটা সময় ভোট দিয়ে এই অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের ইন্ডিয়া জোটের মনোনীত প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা। তিনি মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে ভোট দিয়েছেন এদিন। তিনি বলেন, ভোটের আগের দিন রাত থেকেই বিরোধী দলের পুলিং এজেন্টদের বাড়িতে গিয়ে হামলা হুজুতি করেছে। সকালে যখন পুলিং এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে আছে তখন তাদের বের করে দেওয়া হয়।
সবচেয়ে বেশি প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্র, রামনগর বিধানসভা কেন্দ্র এবং সূর্যমনি নগর বিধানসভা কেন্দ্রে যাচ্ছা তা অবস্থা। সাথে সাথে এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার ডঃ বিশাল কুমার, পুলিশ সুপার কিরণ কুমার এবং পুলিশ অবজারভার জানানো হয়েছে। রিটানিং অফিসার আশ্বস্ত করেছিলেন যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটছে তাদের আটক করা হবে। রিটার্নিং অফিসারের জন্য নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করার পরে দেখা গেছে তিনি আসেন নি। একই অবস্থা সোনামুড়া, উদয়পুর, বিলোনিয়াতে। ভোটারদের ভোটের লাইন থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। সার্বিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান আশিস কুমার সাহা। এদিকে রাজধানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় স্মৃতি বিদ্যামন্দিরে ভোট দিলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। তিনি বরাবরই অভিযোগ তুলেছেন বহু ভোটারকে এদিন ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। পূর্ব ত্রিপুরা আসন থেকে সমাজদ্রোহীদের এনে তাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে গোটা ইন্দ্র নগর এলাকায়।
এদিন সকাল থেকে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের প্রায় সাত থেকে সাড়ে সাত শতাধিক পুলিং এজেন্টকে ভোটকেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জন সম্মুখে এসে অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু আজকে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিরোধীরা পুলিং এজেন্ট পাচ্ছে না। এটা সরকারের ব্যর্থতা বললেন সুদীপ রায় বর্মন। কারণ এমন কোন বিধানসভা কেন্দ্র নেই যেখানে কংগ্রেস কর্মী নেই। আর যেখানে কংগ্রেস কর্মী রয়েছে সেখানে পুলিং এজেন্ট থাকবে না সেটা হতে পারে না। আরো বলেন দিনশেষে স্পষ্ট হয়ে যাবে ভোটের হার কম মানে মানুষকে ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আগে থেকেই পুলিশকে বলা হয়েছিল কোন সব রাস্তা দিয়ে ভোটারদের আসতে বাধা দেওয়া হবে। সে সব রাস্তাতে পুলিশের টহলদারি রাখার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় পুলিশ নেই ভোট কেন্দ্র চত্বরে। বিগত দিনে ৯০ শতাংশের অধিক ভোট পড়েছিল রাজ্যে। এটা ত্রিপুরা রাজ্যের ঐতিহ্য। কিন্তু যাহাই করুক না কেন ইন্ডিয়া জোট জয়ী হবে বলে আশা ব্যক্ত করলেন সুদীপ রায় বর্মন।