স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ এপ্রিল : ১৯ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের নির্বাচন। সকল সাতটা থেকে শুরু হবে ভোট। নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী সরব প্রচার শেষ হওয়ার পর নির্বাচনী এলাকার মধ্যে বহিরাগত কোন মানুষ থাকতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গত কয়েকদিনে এই বিষয়ে লাগাতার প্রচার করার পরেও হুশ ফিরে নি হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং উদাসীন স্থানীয় থানার ওসি বাবুদের।
শুক্রবার সকাল থেকে নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বড়সড় অনিয়ম ধরা পরল পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের রিটার্নিং অফিসার ডঃ বিশাল কুমারের চোখে। নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে হোটেলগুলির মধ্যে বহিরাগত মানুষজন ছিল। পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের রিটার্নিং অফিসার বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মেলারমাঠ ও বোধজং স্কুল সংলগ্ন বিভিন্ন হোটেলে অভিযান চালান। কথা বলেন হোটেলের দেখতে থাকা কর্মীদের সাথে। কথাবার্তায় অনিয়ম পেয়ে রেজিস্টার ভুক্ত খাতা তদারকি করে রিটানিং অফিসার প্রত্যক্ষ করেন হোটেল গুলির মধ্যে ৮০ ভাগ মানুষ বাংলাদেশ সহ রাজ্যের তেলিয়ামুড়া মহাকুমা সহ বিভিন্ন স্থানের। হোটেল কর্তৃপক্ষ বেআইনিভাবে তাদের হোটেলের মধ্যে থাকার সুযোগ দিয়েছিল।
তাদের নাম, ঠিকানা সমস্ত কিছু লিপিবদ্ধ করে স্থানীয় থানাগুলিতে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানাগুলির দায়িত্বে থাকা ওসিদের জানাতে হবে এ বিষয়ে পুলিশ কতটা অবগত রয়েছে। নির্বাচনী গাইড লাইন অনুযায়ী তাদের ইতিমধ্যে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের অন্তর্ভুক্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। পাশাপাশি নোটিশ প্রদান করা হবে বলে জানান অভিযানের পর রিটার্নিং অফিসার। উল্লেখ্য, হোটেল গুলির মধ্যে যারা থাকতে আসে তাদের নাম ঠিকানা রেজিস্টার ভুক্ত খাতার মধ্যে রেখে প্রতিদিন থানায় নিয়ে পুলিশকে দেখানো হয়। তারপরও কিভাবে এত বড় অনিয়ম উঠে এসেছে সেটা এখন বড় প্রশ্নের বিষয়। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে আগরতলা শহরে বহিরাগত দ্বারা ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছিল। এখন দেখার যারা বাংলাদেশের, তারা বৈধভাবে রাজ্যে প্রবেশ করেছে কিনা, নাকি সীমান্ত সীল থাকার পরেও বেআইনিভাবে রাজ্যে প্রবেশ করেছে?