Friday, January 17, 2025
বাড়িরাজ্যআসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থীদের জয় সুনিশ্চিত: মুখ্যমন্ত্রী

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থীদের জয় সুনিশ্চিত: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৮ এপ্রিল: ভোটের বাক্সেই নিজেদের রায় দিয়ে কংগ্রেস সিপিএমের অশুভ জোটের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জবাব দিতে হবে। দীর্ঘদিন এরা শুধু জনজাতি অংশের মানুষকে সবদিক থেকে শোষণ করে গিয়েছিল। জনজাতিদের সঙ্গে শুধু ভোটের রাজনীতি করে গিয়েছিল। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনজাতিদের সার্বিক কল্যাণ ও তাদের অধিকার রক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আসন্ন ভোটে আমাদের প্রার্থীদের জয় সুনিশ্চিত।

                      আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে সোমবার এডিসির সদর কার্যালয় খুমুলুঙে তিন দলীয় জোটের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সুবিশাল নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এই জমায়েতের নাম দেওয়া হয়েছে থানসা রেলী।

                  সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ এখানে উপস্থিত হতে পারে আমি খুবই অভিভূত। গত ২৮ মার্চ পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি, আইপিএফটি এবং তিপ্রা মথা – এই ত্রিশক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আগামীতে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা ও এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পার্টির পক্ষ থেকে বার বার বলা হয় যে প্রথমে দেশ, এরপর পার্টি, এরপর ব্যক্তি। দেশকে আগে ভালোবাসতে হবে। তারপর পার্টিকে ভালোবাসতে হবে। তারপর নিজেকে ভালোবাসতে হবে। এই হচ্ছে আমাদের মূল মন্ত্র। একথা প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি সবসময় বলেন। আর সেই দিশায় আজকে দেশ চলছে। সমাজের অন্তিম ব্যক্তির উন্নয়নে গ্যারান্টি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই গ্যারান্টির বাস্তবায়নেও গ্যারান্টি দিচ্ছেন তিনি। মানুষের কাছে জনমুখী প্রকল্পের সুফল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রকল্পের প্রচার গাড়ি ত্রিপুরাতেও এসেছে। রাজ্যের সমস্ত জায়গায় সেই গাড়ি গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মূল মন্ত্রই হচ্ছে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস। আমাদের সকলের বিশ্বাস, আস্থা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপর।

                     সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আগামী ১৯ এপ্রিল ও আগামী ২৬ এপ্রিল নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীরা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়যুক্ত হবেন। কারণ দেশ শক্তিশালী না হলে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত শক্তিশালী না হলে কেউ শক্তিশালী হতে পারবে না। তাই ২০১৯ সালের চাইতেও এবার আরো অধিক মাত্রার মার্জিনে আমাদের দুই প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। পশ্চিম আসনের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা করার দিনেও প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আমাদের সমর্থনে রাস্তায় নেমে এসেছিল। সেদিন হরিয়ানার বর্তমান ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন। তারাও মানুষ দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। এখন রাজ্যের সব জায়গাতেই রেকর্ড সংখ্যক মানুষের সমাগম হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। মহারাজা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মার সঙ্গে যখনই কোন সমস্যা হয়েছে তখন আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বেরিয়েছে। উভয়ে মিলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। শেষপর্যন্ত তিপ্রা মথার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এদিন প্রদ্যুৎ কিশোরের ভুয়সী প্রশংসা করেন ডাঃ সাহা।

                         সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা আরো বলেন, এতদিন ধরে জনজাতিদের শোষণ করে গিয়েছে সিপিএম কংগ্রেস। আর সেটা বুঝতে পেরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাই জনজাতিদের কল্যাণে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তাঁরা। অথচ সেই সিপিএম আর কংগ্রেস কোন মুখে এখন অশুভ জোট করেছে? এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জবাব দিতে হবে। ভোটের বাক্সে নিজেদের রায় দিয়ে এর যোগ্য জবাব দেবেন। এতদিন তারা জনজাতিদের ভোটের বাক্সে রূপান্তরিত করেছিল। সেটা এখন মানুষ বুঝে গেছে। আর জনজাতিদের যদি প্রকৃত উন্নয়ন করতে হয় তবে সেটা প্রধানমন্ত্রী করতে পারবেন। আসন্ন নির্বাচন শুধু রাজ্যের নয়। সারা দেশের নির্বাচন। এর মাধ্যমে নির্ধারিত হবে আগামী দিনে দেশ কোনদিকে যাবে।

                   নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, পশ্চিম আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব, তিপ্রা মথা দলের প্রধান প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মা, তিপ্রা মথা দলের সভাপতি বিজয় কুমার রাঙ্খল, আইপিএফটির সভাপতি প্রেম কুমার রিয়াং, রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শ্রী রতন লাল নাথ, এডিসির মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য পূর্ন চন্দ্র জমাতিয়া, এডিসির চেয়ারম্যান জগদীশ দেববর্মা সহ রাজ্য সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী ও বিধায়কগণ। তিন দলীয় জোটের হাজার হাজার কর্মী সমর্থকের উপস্থিতিতে আরো একবার স্পষ্ট করে দিল আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থীদের জয় যে শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য